মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আওয়ামী প্রেসক্রিপশনে নির্বাচন কমিশন ১৫০ আসনে ইভিএমে আগামী নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। এই ঘোষণার মাধ্যমে আবারো প্রমাণ হয়েছে এই নির্বাচন কমিশনও অতীতের কমিশনের মতো আওয়ামী সরকারের আজ্ঞাবহ। আগামী নির্বাচন কার অধীনে হবে তা জনগণ ইতোমধ্যেই নির্ধারণ করে ফেলেছে। ভোট ডাকাতির মেশিন ইভিএমে কোনো ভোট হবে না। আগে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল হবে। তারাই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে ব্যালট পেপারে নির্বাচন দিবে। অতীতের মতো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে ইভিএমে ভোট ডাকাতি করে এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হবে না। ইতোমধ্যেই অবৈধ এই সরকারের কাঁপন ধরেছে, জনগণ জেগে উঠেছে। পালানোর সুযোগ পাবে না। তিনি গতকাল বিকালে নগরীর নতুন ব্রিজ মোড়ে বাকলিয়া থানা বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জ্বালানি তেল ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ অসহনীয় লোডশেডিং এবং ভোলায় গুলিতে নূরে আলম ও আবদুর রহমানকে হত্যার প্রতিবাদে এই মিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলটি বাকলিয়া নতুন ব্রিজ মোড় থেকে শুরু করে রাজাখালী, তুলাতলী, কল্পলোক আবাসিক, কালামিয়া বাজার হয়ে কে.বি কনভেনশন সেন্টারের সামনে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে পদত্যাগ করুন। এদেশের মালিক জনগণ। জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে। জনগণের অধিকার আদায়ে বিএনপি রাজপথে থাকবে। এখন এক দফা এক দাবি, এই সরকারের পদত্যাগের মাধ্যমে জনগণের বিজয় নিশ্চিত করে বিএনপি ঘরে ফিরবে। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান। বাকলিয়া থানা বিএনপির সি. সহ সভাপতি এম.আই চৌধুরী মামুনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মো. কামরুল ইসলাম, মোহাম্মদ তৈয়ব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, ইয়াসিন চৌধুরী আসু, ইব্রাহিম বাচ্চু, হাসেম সাওদাগর, মোহাম্মদ শাহজাহান, ইসমাইল বাবুল, আলমগীর নূর, ইউনুচ চৌধুরী হাকিম, এ কে খান, আলী ইউসুফ, জাকির হোসেন, বেলায়েত হোসেন বুলু, এমদাদুল হক বাদশা, মো. আলমগীর, নবাব খান, মো. সেকান্দর, আব্দুল্লাহ আল সগীর প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
