চট্টগ্রামের মানুষ ইফতারে হালিম ছাড়া চিন্তাই করতে পারে না। ইফতারের টেবিলে হালিম থাকবেই। সেটি মাটন, বিফ কিংবা চিকেন হালিম। তাদের কথা মাথায় রেখে চট্টগ্রামের বিখ্যাত মিষ্টি বিতান হাইওয়ে সুইটস নিয়ে এসেছে মাটন তেহেরি ও মাটন হালিম। যা গত বিশ বছর ধরে ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। খাবারের মানে, গুণে অনন্য এ দুইটি খাবার। কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চট্টগ্রামের বরাবরের মতো এবারও ইফতারের ভিন্নধর্মী আয়োজন থাকে। রোজার প্রথম দিন থেকে রোজাদারদের মধ্যে মাটন তেহেরি ও মাটন হালিমের ব্যাপক চাহিদা লক্ষ্য করা গেছে। দামও হাতের নাগালে।
রমজান উপলক্ষে একেক দোকান বা রেস্তোরাঁ একেক ধরনের নিত্য নতুন আইটেম নিয়ে আসে। তার ধারাবাহিকতায় এবার প্রায় ৩৯ ধরনের ইফতারির আয়োজন করেছে বিখ্যাত মিষ্টি বিতান হাইওয়ে সুইটস। তারা এর মধ্যে হাইওয়ে সুইটসের মাটন তেহেরি ও মাটন হালিমের বিশেষ পরিচিতি আছে। তাদের হালিম ও তেহেরিতে মাংসের পরিমাণ বেশি থাকে। এ দুইটির চাহিদাও বেশি।
গতকাল বৃহস্পতিবার লালখান বাজার হাইওয়ে সুইটসের আউটলেটে গিয়ে দেখা যায়, ইফতারি কিনতে ব্যাপক ভিড়। অনেকের ইফতারির থালায় হালিম নিতে দেখা গেছে। তাদের ইফতারি আইটেমের মধ্যে দেখা মেলে, ছোলা, পেঁয়াজু, রোল, চিকেন সাচলিক, চিকেন উইন্স ফ্রাই, শাহী জিলাপি, রেশমি জিলাপি, জিলাপি, বেগুনি, আলুর চপ, পাকোড়া, গুড়ি, এগ পটেটো চপ, সিংগারা, সমুছা, সাসলিক, গ্রিল, রোস্ট, চিকেন চপ, শাক বরা, মরিচা, পটেটো চপ, মিনি পাকোরা, ভেজিটেবল রোল, চিকেন রোল, সবজি বরা, ভেজিটেবল পল ফুডিং, কাপ ফিরনিসহ প্রায় ৩৯ রকমের ইফতারি।
দেওয়ান হাট থেকে ইফতারি কিনতে আসা আব্দুস সবুর বলেন, প্রায় পাঁচ বছর ধরে প্রতি রমজানে তাদের থেকে ইফতারি কিনি। চট্টগ্রামের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় মাটন তেহেরি, মাটন হালিম তৈরি করলেও হাইওয়ে সুইটসের মানে বেশ ভালো। ইফতারি নিতে আসা কলেজ শিক্ষক সলিমুল হক বলেন, হাইওয়ে সুইটসের মাটন হালিম বেশ সুস্বাদু। রমজান মাসে ইফতারে এটি থাকবেই। প্রতিদিন এককেজি করে হালিম কিনি।
হাইওয়ে সুইটসের এমডি মুরাদ চৌধুরী বলেন, ক্রেতার সেবার উদ্দেশ্য রমজানে বিভিন্ন ধরনের ইফতারের আয়োজন করেছি। তবে, রোজাদারের মধ্যে হালিম আর তেহরির চাহিদা বেশি। আমাদের এক কেজি হালিমে প্রায় অর্ধকেজি মাংস থাকে। দাম আমরা ক্রেতাদের নাগালে মধ্যে রেখেছি।
