বেতন বৃদ্ধির দাবিতে চট্টগ্রাম ইপিজেডের বিভিন্ন কারখানায় গতকালও শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেছে। বিভিন্ন কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রাখার পাশাপাশি ইপিজেডের প্রধান ফটক বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় শ্রমিকেরা ভাঙচুর করারও চেষ্টা করে। বেপজা কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে বলে সাংবাদিকদের নিকট দাবি করে আসলেও প্রতিদিনই বিক্ষোভ হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। সংঘবদ্ধ কোনো চক্র শ্রমিকদের উস্কে দিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে কিনা তা খতিয়ে দেখার দাবি জানানো হয়েছে।
জানা যায়, কোনো কোনো কারখানায় নির্ধারিত মজুরির বাইরেও শ্রমিকদের বড় ধরনের প্রণোদনা দিয়েছে–এমন খবরে ইপিজেড পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। মজুরি এবং বাড়তি সুবিধার দাবিতে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকেরা আন্দোলনে নামে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রেখে শ্রমিকেরা রাস্তায় নামছে। একই সাথে ৫/১০টি কারখানার উৎপাদন বন্ধ রাখার ঘটনাও ঘটছে। শ্রমিকেরা ইয়ংওয়ান কারখানা যে পরিমাণ মজুরি এবং বাড়তি সুবিধা দিয়েছে তা অন্যান্য কারখানায়ও প্রদানের দাবি জানাতে থাকে।
অপরদিকে সরকার নির্ধারিত মজুরি নিয়েও শ্রমিকদের অসন্তোষ রয়েছে। বিশেষ করে নতুন এবং পুরনো শ্রমিকের মজুরি একই হয়ে যাওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ। টাইম স্কেলের আদলে বিভিন্ন কারখানার মালিক যে পরিমাণ বেতন বাড়াচ্ছেন তাতে পুরনো শ্রমিকদের সাথে নতুন শ্রমিকদের বেতনের পার্থক্য একেবারে নগণ্য। এই বিষয়টিরও একটি সন্তোষজনক সুরাহা দাবি করা হয়েছে।
মজুরি ইস্যুতে গত কয়েকদিন ধরে চট্টগ্রাম ইপিজেডের অনেকগুলো কারখানায় অশান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। গতকালও কয়েকটি কারখানায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এক পর্যায়ে শ্রমিকেরা ইপিজেডের প্রধান গেট বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে শিল্প পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ জানিয়েছে, বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকেরা পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইপিজেডের বাইরে কোনো চক্র শ্রমিকদের উস্কে দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা শীর্ষ পর্যায়ে জানিয়েছি। এভাবে চলতে থাকলে আমাদেরকে কঠোর হতে হবে।
অবশ্য বেপজা কর্তৃপক্ষ বলেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।