চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেনার ডিপোস এসোসিয়েশন (বিকডা)-এর একটি প্রতিনিধিদল। গতকাল দুপুরে বিকডা সভাপতি নুরুল কাইয়ুম খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন সহ–সভাপতি আলহাজ্ব খলিলুর রহমান, সহ–সভাপতি হাজী মোহাম্মদ হোসেন, সহ–সভাপতি ইমরান ফাহিম নূর, পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম, কেডিএস লজিস্টিকস লিমিটেড–এর নির্বাহী পরিচালক আহসানুল কবির এবং মহাসচিব মোহাম্মদ রুহল আমিন সিকদার। এ সময় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (অর্থ) মোহাম্মদ শহীদুল আলম, পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম এবং সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
বিকডা প্রতিনিধিদলের নেতৃবৃন্দ বেসরকারী ইনল্যান্ড ডিপোসমূহ থেকে কন্টেনারে আমদানিকৃত সকল পণ্য ডেলিভারি দেয়ার অনুমোদন প্রদানের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতে চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকান্ডে গতিশীলতা তৈরি হবে। তারা বলেন, বর্তমানে বিশ্বের কোন বন্দর হতে আমদানি পণ্যভর্তি কন্টেনার খুলে ডেলিভারি দেয়ার নিয়ম চালু নেই। এটা কোন আদর্শ এবং গতিশীল বন্দরের কার্যপরিধির মধ্যে পড়ে না। কারণ আমদানি পণ্য খুলে ডেলিভারি দেয়া বন্দরের গতিশীলতা বহুলাংশে হ্রাস করার পাশাপাশি বন্দরের অভ্যন্তরে প্রতিদিন তীব্র কন্টেনার জট ও যানজট সৃষ্টি করে। চট্টগ্রাম বন্দরের সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বর্তমানে ২১টি ইনল্যান্ড কন্টেনার ডিপো বা আইসিডি রয়েছে। এগুলো থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অনুমোদিত শুধুমাত্র ৩৮ ধরণের এফসিএল আমদানি পণ্য ডেলিভারি দেয়া হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আমদানিকৃত কন্টেনারবাহী পণ্যের মাত্র ১৮ শতাংশ এবং কন্টেনারবাহী রপ্তানি পণ্যের ৯৩ শতাংশ বেসরকারি আইসিডিগুলো হ্যান্ডলিং করে। প্রতিনিধিদলটি বন্দরকে গতিশীল করার জন্য আরো বেশ কিছু প্রস্তাবনা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের নিকট উপস্থাপন করে।