সাকিব আল হাসান অধিনায়ক থাকাকালীন ইনজুরির কারণে তামিম ইকবালকে বিশ্বকাপ দলে নেওয়া হয়নি। তবে তামিমকে বিশ্বকাপে না নেওয়ার পেছনে সাকিবের সঙ্গে তার দ্বন্দ্বই ছিল বড় কারণ। এখনো এমনটা মনে করেন অনেকে। এবার সেই সাকিবেরই ইনজুরি নিয়ে তৈরি হলো নতুন বিতর্ক। চেন্নাই টেস্টে সাকিব ইনজুরি নিয়েই খেলছেন নাকি ইনজুরি লুকিয়ে খেলেছেন প্রশ্ন উঠছে তা নিয়ে। ভারতের সাবেক ক্রিকেটার এবং বর্তমানে ধারাভাষ্য পেশায় আসা মুরালি কার্তিকের দাবি, আঙ্গুলের ইনজুরির কারণেই সাকিব ঠিকঠাক মত বোলিং করতে পারছেন না। এমনিতে সাকিবের চোখে সমস্যা রয়েছে। যার জন্য ব্যাটিংটা আগের মতো হচ্ছে না। তবে বোলার সাকিব পাকিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজে খারাপ করেননি। দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন কাউন্টিতেও। সেই সাকিব চেন্নাই টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে সর্ব সাকুল্যে ২১ ওভার বল করেন। প্রথম ইনিংসে ৮ ওভার বল করে ৫০ রান খরচ করে ছিলেন উইকেটশূন্য। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩ ওভারে ৭৯ রান দিয়েও পাননি উইকেটের দেখা। বলা যায় চেন্নাই টেস্টে উইকেটের দেখা পাননি সাকিব।
দ্বিতীয় ইনিংসে সাকিবের বলে যথেষ্ট রান সগ্রহ করেন ভারতীয় ব্যাটার রিশাভ পন্ত। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার বল হাতে নিলেই চার–ছক্কা হাঁকাতে দেখা যায় রিশাভকে। সাকিব কেন বল হাতে সুবিধা করতে পারছেন না? তেমন প্রশ্নের জবাবে কার্তিক দাবি করেন সাকিবের বোলিং আঙ্গুলে ইনজুরি রয়েছে। আঙ্গুলের যা অবস্থা, তাতে একজন স্পিনারের পক্ষে টেস্টে সেরা ছন্দে বল করা মুশকিল। মুরালি বলেন দীর্ঘদিন ধরে ওকে চেনার সুবাদে আমি জিজ্ঞাসা করি যে, সাকিব কেন এত কম ওভার বল করছে। জবাবে যা বলে, তার পরে আর আমার কিছু বলার ছিল না। কার্তিক বলেণ ওর বোলিং আঙ্গুলে অস্ত্রোপচার হয়েছে। যে জায়গাটায় বল ধরে, সেখানটা ফুলে ও শক্ত হয়ে রয়েছে। কার্যত অসাড় সেই জায়গাটা। সুতরাং বল ধরার সময় কোনও অনুভূতিই হচ্ছে না ওর। একজন স্পিনারের এই অনুভূতিটা দরকার হয়। তাছাড়া ওর কাঁধেও সমস্যা রয়েছে। সুতরাং কাঁধ আর আঙ্গুলের ইনজুরি নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে বল করা সমস্যার।
কার্তিকের এমন দাবির পরেই বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল মুখ খুলেছেন। চেন্নাই টেস্টে ধারাভাষ্য দেওয়া তামিম বলেন মুরালি কার্তিক বলছে যে, আঙুলের ইনজুরির জন্য সাকিবের বল গ্রিপ করতে সমস্যা হচ্ছে। তাই যদি হয়, তবে বাংলাদেশ চারজন প্রথম সারির বোলার নিয়ে মাঠে নেমেছে। টিম ম্যানেজমেন্টের জানানো উচিত, তারা এই ইনজুরি সম্পর্কে অবহিত কিনা। যদিও বাংলাদেশ দলের টিম ফিজিও জানান, যদি ইনজুরি থেকে থাকে, তাহলে বল করতে সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। তবে সাকিবের এমন কোনও অস্বস্তির কথা তারা জানেন না। আর দলের ফিজিও যদি না জানেন তাহলে এ বিষয়টা জানে কে ? তাই সাকিবের ইনজুরির বিষয়টি পরিষ্কার কথাও বলেন তামিম। কারন ইনজুরি লুকিয়ে সে কেন খেলবে। তাহলেতো বাংলাদেশ দল একজন কম নিয়ে খেলল। এই সব বিষয় পরিষ্কার করা উচিত টিম ম্যানেজম্যান্টের।