পটিয়ায় উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ‘ইতেও আনারস, ইতেরে মার’ বলে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর খালেদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় তিনি রক্তাক্ত হন। হামলাকারীরা পিটুনি দিয়ে তার জামা–কাপড় ছিঁড়ে ফেলেন এবং তার ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেন বলে পটিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে।
খবর পেয়ে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যাপক হারুনুর রশিদের ভাই জসিম উদ্দিন, নাছির উদ্দিন ও পৌর কাউন্সিলর শফিউল আলমসহ পটিয়া থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে আহত আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর খালেদকে উদ্ধার করে পটিয়া হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গতকাল সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম–কঙবাজার মহাসড়কের পটিয়া উপজেলার কমল মুন্সিরহাট এলাকায় মেম্বার হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার আলমগীর খালেদ বাদী হয়ে উপজেলা যুবলীগ নেতা ডিএম জমির উদ্দিন ও আবু সাদাত সায়েমের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা যুবলীগ নেতা ডিএম জমির উদ্দিন বলেন, আমি দুপুরের খাবার খেতে গিয়েছিলাম। সেখানে দেখলাম ৪/৫ জন যুবক বিদ্যুতের খুঁটির টাকা পাওয়ার কথা বলে তাকে মারধর করছে। এটা দেখে ভাত না খেয়ে চলে এসেছি। এ ঘটনায় আমি সম্পৃক্ত নই।
হামলার শিকার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর খালেদ বলেন, দুপুরের ভাত খাওয়ার জন্য পটিয়ার কমল মুন্সিরহাট এলাকায় মেম্বার হোটেলে যাই। ভাত খেতে টেবিলে বসলে উপজেলা যুবলীগ নেতা জমির উদ্দিনসহ কয়েকজন হোটেলে প্রবেশ করে। এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই জমির বলেন, ‘ইতেও আনারস, ইতেরে মার’। এটা বলার সাথে সাথে জমিরসহ কয়েকজন যুবক আমাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি, লাথি মারতে থাকেন। আমি ওপেন হার্ট সার্জারির রোগী। আমাকে মাটিতে ফেলে ইচ্ছেমতো লাথি ঘুষি মেরেছেন। এক পর্যায়ে আমাকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে লাথি ঘুষি মারতে মারতে মাটিতে ফেলে দেন। আমার জামা–কাপড় ছিঁড়ে ফেলেন এবং আমাকে রক্তাক্ত করেন। আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও ভেঙে ফেলেন।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।