ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান বলেছেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখে, সূচনালগ্ন থেকে (ইডিইউ) যথাযথ শিক্ষামান এবং অনুকূল পরিবেশ প্রদানে সংকল্পবদ্ধ। যার পরিপ্রেক্ষিতে, ইউনিভার্সিটির যে কোন পদক্ষেপের পূর্বেই সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা এবং তার উপযুক্ত বাস্তবায়নের রূপরেখার প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়। এর ফলে অত্যন্ত কম সময়ে ইডিইউ স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ করতে পেরেছে। প্রকৃতির নিজস্ব ধারাকে ব্যাহত না করে, পাহাড় পরিবেষ্টিত এই ক্যাম্পাসের প্রতিটি অংশের পরিকল্পনা, প্রাকৃতিক ভূদৃশ্যকে আগলে রেখে রচিত। ফ্লোর পরিকল্পনা থেকে ইমারতের অবকাঠামো সবকিছুতে এর উপস্থিতি রয়েছে। তিনি বলেন, চিত্ত দিয়ে গড়া এই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে আধুনিকতা এবং ঐতিহ্য একীকরণের প্রয়াস যেখানে প্রকৃতিকে আগলে রেখে ‘স্পেস ইউটিলাইজেশন’ এর সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ লক্ষ করা যায়, যা বর্ণনাতীত এবং শুধুমাত্র প্রত্যক্ষভাবে দেখলেই উপলব্ধি করা সম্ভব হয়। উপাচার্য বলেন, ক্রমাগতভাবে গুণগত মান প্রসারে ইডিইউ সর্বদা সচেষ্ট। বৈশ্বিক কর্মক্ষেত্রে চাহিদা এবং সমসাময়িক প্রয়োজনীয় স্কিলস’র প্রতি গুরুত্বারোপ করে, ইডিইউতে নানাবিধ প্রোগ্রাম অফার করা হয়, যার মধ্যে আছে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ‘পাবলিক পলিসি এন্ড লিডারশিপ”, “ডেটা অ্যানালাইসিস এন্ড ডিজাইন থিংকিং ফর বিজনেস’ এর মতো ব্যতিক্রমী প্রোগ্রাম। তাছাড়া, বিভিন্ন সম্মানিত এবং খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে ‘শিক্ষক–নিয়োগ কমিটি’, যাদের তত্ত্বাবধায়নে বিভিন্ন দক্ষতা মূল্যায়ন করে শিক্ষক নির্বাচন করা হয়। পাশাপাশি, শিক্ষকরা যাতে পাঠদানে অনুকূল পরিবেশ পেয়ে থাকে, সেই ব্যাপারে দেওয়া হয় বিশেষ নজর। বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রসিদ্ধ ইউনিভার্সিটিতে আমাদের শিক্ষার্থীরা ‘ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম’ এর মাধ্যমে তাদের পড়াশোনার পরবর্তী ধাপ সম্পন্ন করার সুযোগ পাচ্ছে। সর্বোপরি, শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বেশ কিছু স্কলারশিপের ব্যবস্থা, যার মাঝে উইমেন এনপাওয়ারমেন্ট এন্ড লিডারশিপ ফান্ড অন্যতম। বৈশ্বিক পৃথিবীর সাথে সমন্বয় রেখে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি, যার ফলে চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরা আজ এই শহরেই পাচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ।
