অবশেষে প্রায় একমাস পর করোনা জয় করলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। গত ৯ অক্টোবর থেকে ঢাকাস্থ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্যের তিনবার করোনা পজিটিভ আসে। শেষ পর্যন্ত সব উৎকন্ঠাকে ছাপিয়ে গতকাল শুক্রবার চতুর্থবার করোনা পরীক্ষায় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের নেগেটিভ ফলাফল এসেছে। তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন।
গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় দৈনিক আজাদীকে অনেকটা উচ্ছ্বসিত কন্ঠে বলেন, ‘আমার আজকে করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমত এবং দলের সকল নেতাকর্মীসহ মানুষের দোয়া এবং ভালোবাসায় আমি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ।’ তাঁর অসুস্থতার খবর শুনে দলমত নির্বিশেষে দেশে-বিদেশে যারা দোয়া করেছেন, প্রার্থনা করেছেন নেতাকর্মীসহ তাদের সকলের জন্য দোয়া এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এই রাজনীতিবিদ। বিশেষ করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসকগণের নিবিড় পরিচর্যা ভোলার নয় বলেও জানান ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। করোনাকালীন হাসপাতালে একাকী কেমন ছিলেন জানতে চাইলে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি আজাদীকে জানান, ‘যদিও আমার বারবার করোনা পজেটিভ এসেছে-তারপরও আমি সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলাম। সিএমএইচ-এর চিকিৎসকরা আমাকে খুবই ভালো চিকিৎসা দিয়েছেন। আমাকে খুব যত্ন করেছেন। বিশেষ করে এক সপ্তাহ পরে আমি একেবারেই সুস্থ হয়ে গেছি। আমার মনোবল কখনো দুর্বল হয়নি। নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া, ওষুধপত্র খেতাম, টিভিতে খবরা-খবর দেখতাম। রুমের মধ্যে হাঁটাহাটি করতাম।’
দীর্ঘ প্রায় এক মাস করোনার সাথে যুদ্ধ করে করোনাকে জয় করার পর করোনায় আক্রান্ত বয়স্কদের কি ধরনের সতর্কতা জরুরি জানতে চাইলে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ জানান, ‘আমার মনে হয় বয়স্ক থেকে শুরু করে সকল বয়সীদের মাস্ক পড়া অবশ্যই জরুরি। একই সাথে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সবার আগে মনোবল দৃঢ় রাখতে হবে। এছাড়াও নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া ও হাঁটাহাঁটি করা এবং দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকা দরকার। তাহলে করোনাকে জয় করা সম্ভব।’ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করে নির্দিষ্ট দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবেন বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৮ অক্টোবর করোনা পজিটিভ আসে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের। সেদিন রাতেই তাকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের নির্দেশে পরদিনই তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এরপর থেকেই তিনি ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার ৪র্থ বারের মতো ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফের নমুনা নেয় সিএমএইচ কর্তৃপক্ষ। গতকাল সকালে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।