কর্ণফুলী নদীর সল্টগোলা–ডাঙারচর ঘাট পরিচালনার বিষয়ে গত সোমবার (১৪ আগস্ট) দেওয়া একটি আদেশ গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বাতিল করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এ নিয়ে একদিকে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা, অন্যদিকে চসিকের ক্ষণস্থায়ী সিদ্ধান্ত নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। খবর বাংলানিউজের।
সূত্র জানায়, প্রায় ৩৯ লাখ টাকা বকেয়া থাকায় চসিক পরিচালিত সল্টগোলা–ডাঙারচর ঘাটটি চলতি বাংলা সনের বাকি মাসগুলো আগের বছরের ইজারাদারকে না দিয়ে খাস কালেকশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ১৪ আগস্ট চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও এস্টেট শাখার অফিসার মো. রেজাউল করিম নতুন এক অফিস আদেশ জারি করেন।
তাতে বলা হয়, চসিক নিয়ন্ত্রণাধীন সল্টগোলা ঘাটটি ১৪৩০ বাংলা সনের বাকি সময় খাস আদায়ে লোকবল সরবরাহ ও অন্যান্য সহযোগিতার জন্য কর্ণফুলী ডাঙারচর এলাকার মো. আব্বাছকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। খাস আদায়ে চসিকের খাস আদায়কারী ও এস্টেট শাখার চেইনম্যান
তাকে সার্বিক সহযোগিতা করবেন।
এর মধ্যে গত ১৫ আগস্ট এস্টেট শাখার অফিসার মো. আব্বাছকে মুঠোফোনে জানান, আপনারা আপাতত খাস আদায় করবেন না। আগের ইজারাদার খাস আদায় করবেন।
ঘাট মো. আব্বাছের দখলে থাকায় আগের ইজারাদার কর্ণফুলীর শাহমীরপুর পুলিশ ফাঁড়িতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে দু’পক্ষকে ফাঁড়িতে বা রাতে থানায় ওসির কাছে আসার অনুরোধ জানান ফাঁড়ি আইসি। পুলিশ জানায়, লিখিত আদেশে যারা ঘাটের খাস আদায়ের আদেশ পাবেন তারাই ঘাটে থাকবেন।
মো. আব্বাছ বলেন, সল্টগোলা ঘাটটির ১৪৩০ বাংলা সনের বাকি সময় খাস আদায়ের জন্য চসিক থেকে লিখিত আদেশে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি ইতিমধ্যে ৭ লাখ টাকা খরচ করে ৩টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা কিনেছি। এর মধ্যে চসিক যদি আবার মৌখিক নির্দেশ বা নতুন চিন্তা করে তাহলে আমি আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবো। বিষয়টি লিখিতভাবেও চসিককে জানিয়েছি।
চসিকের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও এস্টেট শাখার অফিসার মো. রেজাউল করিম বলেন, চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (উপ–সচিব) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম গতকাল বৃহস্পতিবার মো. আব্বাছকে মেয়র মহোদয়ের নির্দেশক্রমে আগের অফিস আদেশ বাতিলকরণের চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠিতে মো. আব্বাছকে তার লোকবল ও প্রয়োজনীয় মালামালসহ ঘাট থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যদি মো. আব্বাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন তবে তা চসিকের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। আগের ঠিকাদার ১০ লাখ টাকা জমা দিয়েছেন। বাকি টাকা কিস্তিতে পরিশোধের কথা জানিয়েছেন।