পটিয়ায় বালু মহালে বালু তোলার বদলে মাটি কাটা ও যে জায়গায় ইজারা দেয়া হয়েছে সেই স্থান বাদ দিয়ে অন্য জায়গা থেকে মাটি কেটে পাচার করছিলেন ঠিকাদার। অভিযোগ পেয়ে গতকাল শুক্রবার দুপুরে অভিযান পরিচালনা করেছেন পটিয়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম। এ সময় তিনি খালের মাটি কাটা বন্ধের নির্দেশ দেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পটিয়ায় বালু মহালের বদলে কৃষি জমির মাটি কেটে নিচ্ছিলেন ইজারাদারসহ বালুখেকোরা। পারিগ্রামের বাসিন্দারা জানান, ওই গ্রাম রক্ষায় কয়েক বছর আগে শ্রীমাই খালের আরএস সিট মোতাবেক এমপি সামশুল হক চৌধুরী মূল খাল খনন করেন। এর ফলে পারিগ্রামের অবশিষ্ট বসতি ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পায়। কিন্তু আসন্ন বাংলা অর্থবছরের জন্য পারিগ্রামের একই মৌজায় একটি খালের ইজারা দেয় জেলা প্রশাসকের দপ্তর। কিন্তু ইজারাদার মেসার্স হোসেন মোহা. ইব্রাহিমের স্বত্বাধিকারী মো. রফিকুল ইসলাম কার্যাদেশ মোতাবেক সিএস দাগ থেকে বালু উত্তোলন না করে বাহুলী মৌজায় শ্রীমাই খাল ও পাশে জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ বিষয়ে কথা বলতে ইজাদার রফিকুল ইসলামকে ফোন করা হয়। ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে রাজি নই’ বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
খরনা ভূমি অফিসের তহসিলদার রণদাশ জানান, পারিগ্রাম মৌজা হলেও ইজারাকৃত খালের অবস্থান পাহাড়ি এলাকায় এবং পারিগ্রামের পূর্ব দিকে শেষ প্রান্তে। ইজারাদারদের অন্য স্থান বালু তোলার সুযোগ নেই। মাটি তো কাটা যাবে না। তিনি জানান, গত কয়েক বছর ওই অংশে কোনো দরপত্র দাখিল হয়নি। এ বছর দরপত্র পড়েছে মাত্র একটি। আর সে মতেই তারা ইজারা পেয়েছেন। পটিয়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম বলেন, গ্রামের মানুষের প্রতিবাদের মুখে শ্রীমাই খালের ইজারা দেয়া হয়নি। তহসিলদারের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ইজারা দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রবাহমান খাল না থাকলে ইজারা দেয়ার বিধান নেই। তিনি জানান, জাতীয় সংসদের হুইপ মহোদয়ের নির্দেশে গতকাল শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ইজারাদারকে শেষবারের মতো সতর্ক করেছি। রোববার পর্যন্ত কোনো ধরনের মাটি কাটা বা বালু উত্তোলন করা যাবে না শ্রীমাই খাল থেকে। রোববার সিএস সিট মোতাবেক ইজারার স্থান চিহ্নিত করা হবে। এরপর ঠিকাদারকে তা বুঝিয়ে দেয়া হবে। তারা নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে থেকে বালু সংগ্রহ করতে পারবেন না। মাটি কাটার অনুমতি নেই। এর বাইরে গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
