যেন চলছি তো চলছি,
ক্লান্ত বিরামহীন হারিয়ে যাওয়া নদীর মতো দিকভ্রষ্ট।
পথিমধ্যে নুড়ি কাঁকর আঁকড়ে ধরে, যেন মনে হয়
এই বুঝি একটু বিরাম মিলল বলে!
এই বুঝি আমার খুব আপন, খুব কাছের,
বলব এবার সুখ দুঃখের কথা।
হঠাৎ এক দমকা হওয়ার, যখন ছিটকে পড়ি
আরেক পারের গায়ে,
সম্বিত ফিরে।
ভাবছি কি আমি? কিসের
আশায় দিন গুনি?
পথের যে এখনো অনেক বাকি!
ওরা বলে আমি নীল জলে থাকি।
চকচকে হীরের মতো জ্বলজ্বল, চোখ ধাঁধানো সুন্দর
যখন মেঘ কালো আকাশে একফোঁটা রোদ্দুর উঁকি দেয়,
আমি ঝলমলিয়ে উঠি।
কিন্তু আমি যে আজ মেঘ হতে চাই।
এক টুকরো আকাশ কে আগলে ধরে কাঁদতে চাই
মাঝে মাঝে।
ভুলে যাই, আমি তো নিজেই জলের আধার!
ইচ্ছে হয় একটু ছায়া হই। শান্ত, নীরব, কিন্তু প্রশান্তিময়।
সমসময় থাকবো গাছের গায়ে লেগে
কোনোদিন যদি ঝড় এসে বিভেদ করতে চায়?
ব্যর্থ হয়ে ফিরে যাবে। কোনো তাড়া নেই।
নেই কোনো প্রয়োজন।
বর্ষা বসন্ত কে গায়ে মেখে দিন শেষে মিলিয়ে যাবো..