চট্টগ্রাম জেলার বেশকিছু ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে উপকার ভোগী সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দিন দিন বেড়েই চলেছে। অসাধু কয়েকজন চেয়ারম্যানের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে সনদ বাণিজ্যে নেমেছে একশ্রেণীর জমির দালাল চক্র। দালাল চক্রের সিন্ডিকেট এতটাই প্রভাবশালী যে, এদের সাথে আপোষ রফা না করে পরিষদের কোনো সুযোগ সুবিধা সাধারণ মানুষ পায় না। কেউ এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে তার উপর চলে নানাবিধ হয়রানি। এসব দীর্ঘদিন চলে আসলেও দেখার কেউ নেই।
সরকার সাধারণ মানুষের কল্যাণে ইউনিয়ন পরিষদকে শালিসি সমঝোতা করার এখতিয়ার দিলেও কিছু কিছু ইউনিয়ন কার্যালয়ে দেখা যায় তারা রীতিমতো বিচারিক আদালতের আদলে এজলাসে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করে। এতে স্থানীয় জনসাধারণের মনে দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখা দেয় যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সমাজে। সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হতে হয় উত্তরাধিকার বা ওয়ারিশান সনদের বেলায়। বর্তমানে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ওয়ারিশ সনদ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আর এই সনদ ঘিরে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে গড়ে উঠেছে একটি দালাল চক্রের সিন্ডিকেট।
এরা মূলত ইউনিয়ন পরিষদের কর্তাব্যক্তির নিজস্ব লোক, এসব দালাল চক্র ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে জমির কাগজপত্র হাতিয়ে নেয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ওয়ারিশ সনদের কাল্পনিক জটিলতা দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে বিজ্ঞ আদালতে আসতে দেওয়া হয় না। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের। বিভিন্ন সময় নানামুখী চাপ সৃষ্টি করে সহজ সরল মানুষকে বাধ্য করা হয় সাদা কাগজে সই স্বাক্ষর দিতে। তার উপর রয়েছে অনৈতিক অর্থ দাবী, এসব অনিয়ম ও হয়রানি বন্ধে জেলা প্রশাসনের তদারকি ও দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
আলমগীর হোসাইন
সিটি গেইট, কর্নেল হাট চট্টগ্রাম।