রাশিয়া আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে ইউক্রেনে যুদ্ধের একটি পদ্ধতি হিসাবে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে সুবিধা লাভের জন্য রাশিয়া সেখানে শ্বাসরোধী এজেন্ট ক্লোরোপিক্রিন ব্যবহার করছে। এটি বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা নয়। খবর বিডিনিউজের। অস্ত্রের ব্যবহার বহুপাক্ষিক নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি কেমিক্যাল ওয়েপনস কনভেনশন (সিডব্লিউসি) এর লঙ্ঘন, যে কনভেনশন রাশিয়া সই করেছে। কনভেনশন অনুযায়ী, রাসায়নিক অস্ত্র উন্নয়ন, উৎপাদন, মজুদ, স্থানান্তর এবং ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। বিবিসি জানায়, রাশিয়া যুদ্ধক্ষেত্রে পাকাপোক্ত অবস্থান থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের তাড়াতে ক্লোরোপিক্রিন ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের। শ্বাসরোধী এজেন্ট একটি তৈলাক্ত তরল–যা চোখ, ত্বক এবং ফুসফুসে জ্বালা সৃষ্টি করে। তাছাড়া, বমি বমি ভাব, বমি এবং ডাইরিয়াও হতে পারে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (সিডিসি)।প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় রাসায়নিক অস্ত্র প্রচুর ব্যবহার করা হয়েছিল। অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রহিবিশন অব কেমিক্যাল ওয়েপনস (ওপিসিডব্লিউ)-ও ক্লোরিপিক্রিনকে শ্বাসরোধী এজেন্ট হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে। রাশিয়া রাসায়নিক অস্ত্র ছাড়াও যুদ্ধে নিয়মিত টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে এসেছে বলে অভিযোগ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্রদপ্তর। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকারি বাসভবন ক্রিমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, রাশিয়া সিডব্লিউসি এর আওতায় সব বাধ্যবাধকতা মেনে চলায় অটল আছে। সিডব্লিউসি কনভেনশন সই করেছিল প্রায় ১৯৩ টি দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এর আগে ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে রাশিয়াকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন।