কথার সুর পাল্টে ইউক্রেনের পক্ষ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার বলেছেন, রাশিয়ার দখলে থাকা সব ভূমি কিয়েভ পুনরুদ্ধার করতে পারবে বলেই তার বিশ্বাস, এবং মস্কো এখন ‘বড়’ ধরনের অর্থনৈতিক সমস্যায় আছে তাই ইউক্রেনের উচিত এখনি কাজে নেমে পড়া। কিন্তু মঙ্গলবার ট্রাম্পের এমন কথার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এ সংক্রান্ত নীতি পরিবর্তনের কোনো ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না। মস্কোর ওপর নতুন ও তীব্র নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অনেকদিন ধরেই দেনদরবার করছেন। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন নানা অজুহাতে সেই পদক্ষেপ নিতে কালক্ষেপণ করছে। খবর বিডিনিউজের।
‘(ভ্লাদিমির) পুতিন ও রাশিয়া এখন বড়সড় অর্থনৈতিক সমস্যায়, এখনই সময় ইউক্রেনের পদক্ষেপ নেওয়ার। (যুদ্ধে) রাশিয়ায় যে অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছে তা দেখে আমার মনে হচ্ছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন নিয়ে লড়াই করার ও তার সব অঞ্চল আদি অবস্থায় পুনরুদ্ধার করতে ইউক্রেন পারবে,’ মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রুথ সোশালে ট্রাম্প এমনটাই বলেছেন। ট্রাম্পের এখনকার যে প্রত্যাশা তা পূরণ করতে হলে দখলে থাকা ২০% ভূখণ্ড থেকে রুশ সেনাদের তাড়াতে হবে ইউক্রেনকে, এর মধ্যে ক্রাইমিয়াও আছে, যা ২০১৪ সাল থেকেই মস্কোর কব্জায়। এমন কিছু হলে তা হবে অভাবনীয়। ট্রাম্প এর আগে শান্তির জন্য কিয়েভকে ভূখণ্ডে ছাড় দিতে চাপ দিয়েছিলেন। সেসময় ইউক্রেনের ভয় ছিল, পেছনের দরজা দিয়ে হওয়া কোনো চুক্তির বলে তাদের ভূমি রাশিয়ার আইনি দখলে চলে যায় কিনা, তা নিয়ে।