ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে ৭০% প্রস্তুত রাশিয়া

দাবি মার্কিন কর্মকর্তাদের

| সোমবার , ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৮:০৫ পূর্বাহ্ণ

ইউক্রেন নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, ইউক্রেইনে পুরোদস্তুর অভিযান চালাতে প্রয়োজনীয় সামরিক শক্তির প্রায় ৭০ শতাংশই প্রস্তুত রেখেছে রাশিয়া। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তারা বলেছেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে আরও ভারি সরঞ্জাম মোতায়েন করবে দেশটি। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা তাদের দাবির সপক্ষে কোনও প্রমাণ হাজির করতে পারেননি। মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা বলছেন, তারা গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছেন, তবে স্পর্শকাতর হওয়ায় এব্যাপারে বিস্তারিত জানানো যাচ্ছে না। খবর বিডিনিউজের। তারা বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলা চালানোর মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন কিনা তা তারা জানেন না। তবে তারা মনে করেন, সংকটের কূটনৈতিক সমাধান এখনও সম্ভব। দুই মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তন ঘটলে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের শেষের সময়ের মধ্যে রাশিয়া সহজেই সামরিক সরঞ্জাম এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবে। কারণ, ওই সময়ে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে রাস্তাগুলো জমে শক্ত হয়ে যেতে পারে। কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসন হলে ৫০ হাজারের মতো মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে। তারা হিসাব কষে আরও বলেছেন যে, এই আগ্রাসনে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পতন ঘটতে পারে কয়েকদিনেই। আর সেই পরিস্থিতিতে মানুষজন বাধ্য হয়ে পালাতে শুরু করলে ইউরোপে তৈরি হতে পারে শরণার্থী সঙ্কট। সমপ্রতি রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে লাখো সেনা সমাবেশ করেছে, মোতায়েন করেছে অসংখ্য ট্যাঙ্ক, কামান। বিপুল গোলাবারুদ মজুদ করার পাশাপাশি প্রস্তুত রেখেছে যুদ্ধবিমানও। ইউক্রেইনে আগ্রাসনের লক্ষ্যেই মস্কোর এই সমরসজ্জা বলে অভিযোগ কিয়েভ ও তার পশ্চিমা মিত্রদের। রাশিয়া অবশ্য শুরু থেকেই এই অভিযোগ উড়িয়ে আসছে। তাদের ভাষ্য, নিজেদের ভূখণ্ডের ভেতর যত ইচ্ছা সেনা সমাবেশের অধিকার তারা রাখে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে পশ্চিমা সামরিক জোট নেটো বাহিনীকে জোরদার করতে পোল্যান্ডে অতিরিক্ত সেনা পাঠিয়েছে। শনিবার পোল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রেশো শহরে প্রথম সেনা দল পৌঁছেছে। কয়েক দিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ঘোষণা দিয়ে বলেছিল, তারা পূর্ব ইউরোপে অতিরিক্ত তিন হাজার সেনা পাঠাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাকিস্তানে তিন দিনে ২০ বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ৯ সৈন্য নিহত
পরবর্তী নিবন্ধসলিল কান্তি সরকারের মৃত্যুবার্ষিকী আজ