ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করতে কিয়েভে আকস্মিক সফরে যাচ্ছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিনপিংয়ের রাশিয়ার সফরের মধ্যেই কিশিদা ইউক্রেন সফর করছেন। সোমবার ভারত সফর করেন কিশিদা। সেখান থেকে পোল্যান্ড হয়ে তিনি হঠাৎ করেই ইউক্রেনে যান। ট্রেনে করে সীমান্ত পেরিয়ে ইউক্রেনের পথে রয়েছেন তিনি। জাপানের রাষ্ট্রীয় সমপ্রচারমাধ্যম এনএইচকে মঙ্গলবার খবর জানিয়েছে। সিএনএন জানায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম জাপানের কোনও প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ চলতে থাকা কোনও দেশ বা অঞ্চল ভ্রমণ করছেন। খবর বিডিনিউজের।
তাছাড়া, ধনী দেশগুলোর জোট জি–৭–এর এশীয় সদস্য দেশের নেতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসাবেও ফুমিও কিশিদা এই প্রথম কিয়েভ সফর করছেন। জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মঙ্গলবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেছে, জেলেনস্কির আমন্ত্রণেই কিশিদার ইউক্রেন সফর। তিনি বৃহস্পতিবার জাপানে ফিরবেন। সফরকালে তিনি সরাসরি ইউক্রেনকে জাপানের দৃঢ় সমর্থন এবং সংহতির বার্তা দেবেন।
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর থেকেই কিয়েভকে সমর্থন দিয়ে আসা জাপান জোরালোভাবেই রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলে এসেছে।
গতমাসে জাপান ইউক্রেনের জন্য ৫শ’ কোটি ডলারেরও বেশি মানবিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনকে কেবল ইউরোপই নয় গোটা আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের নিয়ম–নীতির জন্যই চ্যালেঞ্জ বলে বর্ণনা করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা। বর্তমান বিশ্বে চীনের দাপট বাড়তে থাকার মধ্যে জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সামপ্রতিক দিনগুলোতে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে। বিশেষ করে নিরাপত্তা এবং গোয়েন্দা সহযোগিতা জোরদার হচ্ছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি যখন রাশিয়ায়, ঠিক তখনই জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদার ইউক্রেইন সফর ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় তীব্র বিভক্তিরই বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। একদিকে জাপান কিয়েভকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। আর অন্যদিকে, চীন বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এবং যুদ্ধাপরাধের তকমা পাওয়া রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সমর্থনে সরব হয়েছে।
