চমৎকার পারফরম্যান্সে টেইলর ফ্রিটজের বিপক্ষে সব বাধা উৎরে গেলেন নোভাক জোকোভিচ। দারুণ এক জয়ে ইউএস ওপেনের সেমি–ফাইনালে পা রাখলেন সার্ব তারকা। বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে কোয়ার্টার–ফাইনালে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলেন চতুর্থ বাছাই যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রিটজ। স্বাগতিক তারকার সমর্থনে গ্যালারিতে ছিল ভক্ত–সমর্থকদের সরব উপস্থিতি। তবে জোকোভিচের দাপটের সামনে শেষ পর্যন্ত সেসব ফিকে হয়ে পড়ে। অনেকগুলো ব্রেক পয়েন্ট তুলে নিয়ে ৬–৩, ৭–৫, ৩–৬, ৬–৪ গেমে জয় নিশ্চিত করেন রেকর্ড গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী। তিন ঘণ্টা ২৪ মিনিটের কঠিন লড়াই শেষে জোকোভিচ স্বস্তি প্রকাশ করেন। বলেন, ভাগ্যবান ছিলেন তিনি। ‘অবিশ্বাস্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ ছিল। সত্যিই, যে কেউ জিততে পারত। আমার মতে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেটে সে–ই তুলনামূলক ভালো খেলেছে।’ শেষ আটের এই ম্যাচের দিন ছিল জোকোভিচের মেয়ে তারার জন্মদিন। শেষ ষোলোয় জয়ের পর জোকোভিচ বলেছিলেন, জন্মদিনের পার্টিতে তিনি থাকতে পারবেন না বলে খুশি নয় তার মেয়ে। জয় দিয়ে মেয়ের জন্মদিন রাঙানোর প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেছিলেন তিনি। ফ্রিটজকে হারানোর পর কোর্টে নাচতে দেখা যায় জোকোভিচকে। পরে তিনি বলেন, মেয়ের জন্যই ছিল তার ওই নাচ।
পুরুষ ও নারী মিলিয়ে এককের রেকর্ড ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন জোকোভিচ, সমান ২৪টি জিতেছেন মার্গারেট কোর্টও। জোকোভিচ সবশেষ মেজর শিরোপা জিতেছেন ২০২৩ সালের ইউএস ওপেনেই। আর একটি জিতলেই পুরুষ–নারী মিলিয়ে কিংবদন্তি কোর্টকে ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ডটি একার করে নেবেন ৩৮ বছর বয়সী তারকা। সেই লক্ষ্যে ছুটে চলায় সেমি–ফাইনালে কার্লোস আলকারাসের সামনে কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়বেন র্যাঙ্কিংয়ের সপ্তম স্থানে থেকে আসর শুরু করা জোকোভিচ। কোয়ার্টার–ফাইনালের আরেক ম্যাচে চেক রিপাবলিকের ইজি লেহেচকাকে ৬–৪, ৬–২, ৬–৪ গেমে উড়িয়ে দেন স্প্যানিশ তারকা আলকারাস। এবারের আসরে এখনও কোনো সেট হারেননি আলকারাস। প্রথম পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে কোনো সেট না হেরে ইউএস ওপেন জয়ের পথে ভালোভাবেই আছেন তিনি। বয়সে জোকোভিচের চেয়ে ১৬ বছরের ছোট আলকারাস, তবে কোর্টে গত কয়েক বছরে এই দুজনের দারুণ কিছু লড়াই দেখা গেছে। গ্রেট জোকোভিচের সামনে বেশ কয়েকবার বড় প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছেন ২২ বছর বয়সী আলকারাস। গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে আলকারাসের বিপক্ষে দুবারের দেখায় একবারও জিততে পারেননি জোকোভিচ; ২০২৩ ও ২০২৪ উইম্বলডনের ফাইনালে তাকে হারিয়েই ট্রফি উঁচিয়ে ধরেন আলকারাস।











