জেসিকা পেগুলাকে হারিয়ে ইউএস ওপেনের শিরোপা জয় করেছে আরিনা সাবালেঙ্কা। বিশ্বের দুই নম্বর খেলোয়াড় সাবালেঙ্কার এটি ক্যারিয়ারের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম ও ইউএস ওপেনের প্রথম শিরোপা। ফাইনালে বেলারুশের সাবালেঙ্কা ৭–৫, ৭–৫ গেমে সরাসরি সেটে পেগুলাকে পরাস্ত করে চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জণ করেন। এর আগে এ বছরের শুরুতে তিনি টানা দ্বিতীয়বারের মত অস্ট্রেলিয়ান শিরোপা জয় করেছিলেন। ফাইনালে মার্কিন তারকা পেগুলা দ্বিতীয় সেটে ০–৩ গেমে পিছিয়ে থেকেও ৫–৩ গেমের লিড নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাবালেঙ্কার কাছে আর পেরে উঠেননি। ২৬ বছর বয়সী সাবালেঙ্কা ৪০টি উইনিং শট খেলেছেন। গত বছরের রানার্স–আপ ও ২০২২ ও ২০২৩ সালের সেমিফাইনালিস্ট সাবালেঙ্কা বলেছেন, ‘এখানে অতীতের সেই কষ্টকর পরাজয়গুলো আমার মনে আছে। বিষয়গুলো মোটেই সহজ নয়। স্বপ্ন দেখা কখনো থামিয়ে দেইনি। শুধুমাত্র সেগুলো অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে গেছি। এই মুহূর্তে কিছু বলার ভাষা আমার নেই। বেশ কয়েকবার ইউএস ওপেনের শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলাম। এটা সবসময়ই আমার স্বপ্ন ছিল। শেষ পর্যন্ত সুন্দর এই ট্রফিটি হাতে তুলতে পেরেছি। আমি নিজেকে নিয়ে দারুন গর্বিত। একইসাথে পুরো দলকে নিয়ে গর্বিত।’ টরেন্টোর শিরোপা নিয়ে পেগুলা নিউ ইয়র্কে খেলতে এসেছিলেন। সিনসিনাতি ওপেনের ফাইনালে সাবালেঙ্কার কাছে হেরে পেগুলাকে রানার্স–আপ শিরোপা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। উত্তর আমেরিকান গ্রীষ্ম মৌসুমে হার্ড কোর্টে পেগুলা ১৬টি ম্যাচের মধ্যে ১৫টিতেই জয়ী হয়েছেন।
ফাইনাল শেষে হতাশ পেগুলা বলেন, ‘আশা করেছিলাম অন্তত একটি সেটে সে যেন পরাজিত হয়। কয়েক সপ্তাহ আগে সিনসিনাতি ওপেনে আমরা বেশ কঠিন ম্যাচ খেলেছি। সাবালেঙ্কা বিশ্বের অন্যতম সেরা একজন খেলোয়াড়। সে খুবই শক্তিশালী একজন খেলোয়াড় এবং প্রতিপক্ষকে কখনই কোন ছাড় দেয় না। তার সাথে খেলার সুযোগ পাওয়াও অনেক বড় বিষয়।’