ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে উঠে আসা বক্তব্য বিএনপির রাজনীতির জন্য সুখকর নয় বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ক্ষমতাসীন দলের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ইইউ রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে বিএনপির অপরাজনীতির বিষয়টিই উঠে এসেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সম্মিলতি চলচ্চিত্র পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে মন্ত্রী বলেন, উনারা (বিএনপি) যাদের কাছে গিয়ে বারবার ধরনা দেন, তাদের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, হরতাল, অবরোধ, জ্বালাও–পোড়াও এগুলো করা যাবে না। এগুলো গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করে। তারা যে ক্রমাগতভাবে গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করেছে, সেই কথাটি ইইউ রাষ্ট্রদূতের মুখ থেকে বেরিয়ে এসেছে। এটি বিএনপির অপিরাজনীতির ওপর একটি বিরাট চপেটাঘাত। বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দেওয়া সংস্থাগুলো ফিলিস্তিন নিয়ে কথা বলে না কেন, সে প্রশ্নও তোলেন মন্ত্রী। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, পৃথিবীর মানবাধিকার সংস্থাগুলো বিভিন্ন দেশে পান থেকে চুন খসলেই বিবৃতি দেয় বা অনেক ক্ষেত্রে বিবৃতি বিক্রি করে। আর এ ক্ষেত্রে তারা নিশ্চুপ। আর যেসব দেশ বিভিন্ন সময় মানবাধিকার নিয়ে পরামর্শ দেয়, তাদের বক্তব্যও খুঁজে পাচ্ছি না। এটা খুবই দুঃখজনক। ফিলিস্তিনে যখন শিশুরা পাথর ছুড়ে সেটির প্রতিউত্তরে ইসরাইলি বাহিনী বৃষ্টির মত গুলি ছোড়ে। সেখানে নির্বাচারে মানুষ হত্যা করে। সেটির আমরা নিন্দা জানাই। যারা মানবাধিকতার নিয়ে কথা বলে তাদের নীরবতা আরও বেশি দুঃখজনক। বিএনপির আন্দোলনের হুমকিকে পাত্তা না দেওয়ার কথাও জানান হাছান। তার দাবি, বিএনপির যেসব দলকে নিয়ে কর্মসূচি পালন করছে, সেগুলোর নাম দলটির মহাসচিবই জানেন না।