ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের চলতি আসরে টানা জয়ের পথচলায় স্পেন হারিয়েছে ক্রোয়েশিয়া, ইতালি, জার্মানি ও ফ্রান্সের মতো শক্ত প্রতিপক্ষকে। যারা ছিল ‘ফেভারিট’–এর তালিকায়। এতে আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে উঠলেও শিরোপার মঞ্চে নামার আগে সাবধানী লুইস দে লা ফুয়েন্তে। স্পেন কোচের চোখে, ফাইনালের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডও ভীষণ শক্তিশালী। বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে আগামী রোববার ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুটের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দুই দল। জার্মানির সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ তিন শিরোপা জয়ী স্পেনের সামনে রেকর্ডটি নিজেদের করে নেওয়ার হাতছানি। বিপরীতে প্রথমবারের মতো এই ট্রফির স্বাদ পেতে মুখিয়ে ইংল্যান্ড। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই দুর্বার স্পেন। একে একে সব বাধা দে লা ফুয়েন্তের দল পেরিয়েছে নান্দনিক ও আগ্রাসী ফুটবলে সওয়ার হয়ে। তুলনায় ইংল্যান্ডকে দ্যুতিহীন পারফরম্যান্সের জন্য সমালোচিত হতে হয়েছে। সেমি–ফাইনালে নেদারল্যান্ডন্সের বিপক্ষে শুরুতে দাপুটে ফুটবল খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে ফের ছন্দ হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। পরে শেষ দিকে অলি ওয়াটকিন্সনের গোলে তারা ২–১ ব্যবধানে জয় পায়। একই ব্যবধানে ফ্রান্সের বিপক্ষে প্রথম সেমি–ফাইনালে জিতেছিল স্পেন। ফাইনালে হতে পারে যেকোনো কিছু। ছোটখাট বিষয় হয়ে উঠতে পারে নির্ণায়ক। স্পেন কোচ তাই ইংল্যান্ডকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না মোটেও।
এই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স এবং নিজেদের মাঠে খেলার কারণে জার্মানি ফেভারিট ছিল। এই ফেভারিটদের (ইংল্যান্ড ছাড়া) টপকানোর সুযোগ আমরা পেয়েছিলাম এবং পারও করেছি। এখন আমাদের সামনে আরেকটি বড় ম্যাচ। হতে পারে, ফাইনালে ইংল্যান্ডের চেয়ে আরও ভালো ফুটবলের পসরা মেলে ধরবে স্পেন। কিন্তু লড়াইটা এখন এক ম্যাচের। ফলে আগের কোনোকিছুর প্রভাব থাকবে না। ইংল্যান্ডের মানসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে। যারা যেকোনো মুহূর্তে জ্বলে উঠতে পারে। কেবল জাতীয় দলের দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, ক্লাব ফুটবলের বিবেচনাতেও পরিপূর্ণ অভিজ্ঞ ও শক্তিশালী দলের বিপক্ষে আমাদের ম্যাচ। লড়াইটা কঠিন হবে। দুরনন্তপথচলার শেষটাও জয়ের হাসিতে শেষ করতে উন্মুখ দে লা ফুয়েন্তে। লক্ষ্যপূরণে নিজ দলের প্রতিও তার আস্থা, বিশ্বাস প্রবল। কিন্তু আমরা এই ফাইনালের জন্য মুখিয়ে আছি। আমরা বেড়ে ওঠার ধারাবাহিকতায় থাকতে চাই। এই খেলোয়াড়েরা জয়ের চেষ্টা এবং ট্রফি জেতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে। ১৯৯৬ সালের ইউরোর পর বড় টুর্নামেন্টে প্রথম দেখা হচ্ছে এই দুই দলের। সেবার ওয়েম্বলির কোয়ার্টার–ফাইনালে টাইব্রেকারে স্পেনকে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। যেকোনো ফুটবলে সবশেষ দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল ২০১৮ সালে উয়েফা নেশন্স লিগে। রাহিম স্টার্লিংয়ের দুটি ও মার্কাস র্যাশফোর্ডের এক গোলে স্পেনের বিপক্ষে ৩–২ ব্যবধানে জিতেছিল ইংল্যান্ড।