আসুন আমরা সবাই সচেতন হই

| শুক্রবার , ৩১ মে, ২০২৪ at ৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ

একাডেমিক শিক্ষা মানুষ স্কুলকলেজে শিখলেও নৈতিক শিক্ষা মূলতঃ পরিবার থেকেই শুরু হয়। আর এটি প্রত্যেকটি মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষা। নৈতিক শিক্ষা কাকে বলে? এক কথায় বলা যায় ভালোমন্দের বিচার করার মানদণ্ডই হলো নৈতিকতা। একজন মানুষ যতই শিক্ষিত হোক না কেন, উচ্চ ডিগ্রি থাকুক না কেন, তার মধ্যে যদি নৈতিকতাবোধ না থাকে তাহলে তার মধ্যে পরিপূর্ণ মনুষত্বের বিকাশ ঘটে না, তার দ্বারা ভালো কিছুর আশা করা যায় না। নৈতিক জ্ঞানসম্পন্ন একজন মানুষের দ্বারা অপরাধ বা সমাজের ঘৃণ্য কার্যকলাপ ঘটা অসম্ভব। আজকে কিশোর গ্যাংয়ের মতো অপরাধী সংগঠন গড়ে উঠছে। আজ সমাজের সকল মানুষতো এক হওয়া দূরের কথা, পরিবারগুলোও বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। নৈতিক শিক্ষার অভাবের কুফল আমরা পাচ্ছি, সমাজও পাবে। এই বিষাক্ততা থেকে ছোটছোট কারণে সমাজে বিভিন্ন অরাজকতা তৈরী হচ্ছে। যেমন, ইভটিজিং, নারী নির্যাতন, শিশু হত্যা, সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্য বাবামায়ের গায়ে হাত তোলা অথবা হত্যা করার মতো অপরাধ ঘটছে। একজন শিক্ষক যিনি জাতির মেরুদণ্ড তৈরী করবেন তার থেকে অনৈতিক আচরণ পেলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে? শুধু শিক্ষা অর্জন করলেই হবে না, মানুষ হতে হলে নৈতিক শিক্ষার বিকল্প নেই। এটি যেহেতু পরিবার থেকেই শুরু হয়, তাই, আসুন আমরা সবাই সচেতন হই। সমাজকে সুন্দর ও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য শান্তিময় বাসযোগ্য করে তুলতে অবদান রাখি।

এম. আবু ছৈয়দ চৌধুরী

নিমতলা, বন্দর, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকমলা সুরাইয়া : কবি ও কথাসাহিত্যিক
পরবর্তী নিবন্ধসম্পর্কের যত্ন করতে হয়