আসল পুলিশের হাতে ধরা পড়ল নকল পুলিশ

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৬ মে, ২০২৪ at ৬:২৩ পূর্বাহ্ণ

নগরীর ডবলমুরিং এলাকায় মো. মনির মিয়া (৫১) নামে এক ব্যক্তির অবৈধ রিকশা ভ্যান আটক করে ট্রাফিক পুলিশ। এসময় শাহনাজ আক্তার শান্তা (১৯) নামে এক নারী নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে আগ্রাবাদস্থ উপপুলিশ কমিশনারট্রাফিকের (পশ্চিম) কার্যালয়ে আসেন রিকশা ভ্যানটি ছাড়িয়ে নিতে। কিন্তু সেখানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে রীতি অনুযায়ী স্যালুট দেননি তিনি। সন্দেহ হয় পুলিশের। জিজ্ঞাসাবাদে ধরা পড়ে শান্তা ভুয়া পুলিশ। পরে তাদের দু’জনকেই ডবলমুরিং থানায় সোপর্দ করা হয়। গত মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। আটক শাহনাজ আক্তার শান্তা নগরীর মৌলভীপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের পাটোয়ারী বলেন, মনির মিয়ার ভ্যান গাড়ি পুলিশের হেফাজতে ছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শান্তা ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার (পশ্চিম) কার্যালয়ে গিয়ে নিজেকে পুলিশ পরিচয় দেন এবং ডিসি স্যারকে জানান, মনির মিয়া তার চাচা। ফেরার সময় তিনি ডিসি স্যারকে স্যালুট না দিয়েই বের হয়ে যান। এ পর্যায়ে সন্দেহ হলে ওই তরুণীকে আটক করে ডবলমুরিং থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি পুলিশ নন বলে স্বীকার করে নেন। জানান, মনিরও তার চাচা নন।

ওসি ফজলুল পাটোয়ারি বলেন, শান্তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত দেড়টায় বেপারিপাড়া এলাকায় তার ভাড়া বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে তার বাসা থেকে পুলিশের পোশাকের দুটি শার্ট, একটি প্যান্ট, বেল্ট ও ক্যাপ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা শার্টের একটিতে ডিএমপির মনোগ্রাম, অন্যটিতে সিএমপির মনোগ্রাম আছে। পুলিশের ইউনিফর্মগুলো শান্তা কোথায় পেয়েছেন, সে তথ্য সঠিকভাবে জানাচ্ছেন না। একবার বলছেন ঢাকায় পেয়েছেন, আবার বলছেন চট্টগ্রাম থেকে কিনেছেন। তার স্বামী মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান নগদের বিক্রয় প্রতিনিধি। গ্রেপ্তার মনির তার প্রতিবেশী বলে জানিয়েছে শান্তা। তারা পরস্পর যোগসাজশে পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএজেন্ট ব্যাংক থেকে ১২ লাখ টাকা নিয়ে ক্যাশিয়ার উধাও
পরবর্তী নিবন্ধনির্বিঘ্নে যাত্রী পরিবহনে প্রস্তুত হচ্ছে ১১৬ ইঞ্জিন