প্রতি বছর বাজেট অধিবেশন আসলে জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বেড়ে যায়। বাজেটে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম না বাড়ালেও এক শ্রেণির মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দেয়। প্রতি বছরই বাজেট নিয়ে শুধু সমালোচনাই হয়। সরকারি দল বলে এ বাজেটে গণ মানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে অন্যদিকে বিরোধী দল বলে এ বাজেট গরিব মারার বাজেট। আসলে সাধারণ মানুষ বাজেট বুঝে না। বুঝে না দল নেতাদের কথার মার প্যাঁচ। তারা শুধু বোঝে কোন জিনিসের দাম বাড়ল কোনটি কমল। তারা কেবল চায় তার সীমিত আয়টুকু দিয়ে যেন পরিবার পরিজন নিয়ে দু’বেলা পেট ভরে খেতে পারে। কিন্তু এবারও জিনিসের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। বাজারে যে পণ্যের দাম আজ দশ টাকা, কাল যে তার দাম দশটাকা থাকবে এটার কোন নিশ্চয়তা নেই। ক্ষেত্র বিশেষে এমন দেখা যায় সকালে কোন পণ্য যে দামে কেনা হয়েছে বিকালে সেই একই পণ্য বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হয়। পণ্যমূল্য বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে চাহিদার তুলনায় যোগানের অভাব। দ্রব্যমূল্যকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হলে ফটকাবাজি ও মজুতদারী নির্মূল করা প্রয়োজন। এসব ক্ষেত্রে সরকারকে কঠোর ভূমিকা নিতে হবে। আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। শুধু কথা ও বক্তৃতার ফুলঝুরি ফোটালে চলবে না। নানা কারণে আজও আমাদের এই দরিদ্র দেশটিতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বেড়ে চলেছে। এর সূত্র ব্যাপক, কারণ নানাবিধ।
এম. এ. গফুর,
বলুয়ার দীঘির দক্ষিণ–পশ্চিম পাড়,
কোরবাণীগঞ্জ, চট্টগ্রাম।