সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরবর্তী ‘নতুন কর্মসূচি’ দেওয়ার কথা বলছে বিএনপি।
দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী ভোট পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, এখনও আমরা কর্মসূচিরই মধ্যে আছি, আন্দোলনের মধ্যেই আছি। আমাদের সঙ্গের রাজনৈতিক দলগুলো আছে, তাদের সঙ্গে কথা বলার বিষয় আছে। সকলের সঙ্গে কথা বলে কর্মসূচি ‘ফরমুলেটেড’ করে আপনাদের জানানো হবে।
গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন দলটির কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চান সাংবাদিকরা।
বিএনপি যে ‘একতরফা নির্বাচনের’ কথা বলছে, তার প্রতিবাদে রাজপথে নামবে কিনা–এমন প্রশ্নে রিজভী বলেন, নিশ্চয়ই, অবশ্যই। আমাদের নানা কর্মসূচি, আমাদের নেতৃবৃন্দ প্রায় প্রতিদিন বসছেন। কর্মসূচি ঠিক করে আবার আপনাদের জানাবেন।
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটে জিতে টানা চতুর্থবারের মত সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি ও সমমনারা এ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে সরকার পতন ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে অনড় থেকে আন্দোলন চালিয়ে গেছে। নির্বাচন সামনে রেখে গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের দিন সংঘর্ষের পর থেকে হরতাল–অবরোধের ধারাবাহিক কর্মসূচি দেয় বিএনপি। এসব কর্মসূচি চলাকালে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে সারা দেশে। ভোটের দিন ও এর আগের দিনও হরতাল ডেকেছিল দলটি।
সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, আমি আপনাদের বলতে চাই, অবৈধ সত্ত্বা নিয়ে তারা (সরকার) যে আনন্দ করছেন, তাদের এই উৎসব একদিন জনগণের উৎসব হবে তাদের পরাজযের মধ্য দিয়ে, তাদের পতনের মধ্য দিয়ে।
ঢাকার নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে ৭৫ দিন তালাবন্ধ ছিল বিএনপি অফিস। দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা গত বৃহস্পতিবার তালা ভেঙে কর্যালয়ে প্রবেশ করেন। পরদিন শুক্রবার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে আসেন রিজভী। গতকালও সংবাদ সম্মেলনে এসে নির্বাচন প্রসঙ্গ ও দলের অবস্থান নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান এই জ্যেষ্ঠ নেতা।