৭ ফাল্গুন ১৪২৭, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ পাঠকপ্রিয় দৈনিক আজাদীর প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত সংবাদে জানা যায় বাঁশখালীতে একটি শতবর্ষী পুকুর ভরাটে তথাকথিত সমবায় সমিতি নামধারী কিছু দুষ্টচক্রের অপরিণামদর্শী তৎপর। অবশ্য স্থানীয় সচেতন জনগোষ্ঠীর তীব্র প্রতিবাদের মুখে বাঁশখালী পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সাহসী সিদ্ধান্তে ঐসব কুচক্রীমহলের হীন তৎপরতা ভণ্ডুল হয়ে যায়। আমরা সবাই জানি, লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমিতে প্রায় প্রতি বছর সর্বনাশা বন্যায় আক্রান্ত হয়ে ঘরবাড়ি, সহায়-সম্পদ, ফসলাদি এমনকি কত মানব সন্তানের প্রাণহানি হয়ে থাকে তার কোন ইয়ত্তা নেই। এই ভয়াল প্রাকৃতিক দুর্যোগ জাতীয় অর্থনীতির পরিকল্পিত উন্নয়নের পথে যে মারাত্মক হুমকিস্বরূপ একথা বলাই বাহুল্য। দেশের এমনতর অবস্থায় যেখানে নতুন পুকুর খনন করে পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে বন্যার ভয়াল তাণ্ডব থেকে দেশমাতৃকাকে বাঁচানোর এবং পরিকল্পিত মৎস্য চাষের ব্যবস্থা করে দেশের মানুষের পুষ্টি চাহিদা মিটাতে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন সেখানে পুকুর ভরাটের নামে যারা পুকুর হত্যা করেছে তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা পরিবেশ অধিদপ্তরের আশু কর্তব্য বলে আমরা মনে করি।
শেখ মোজাফফর আহমদ, ফোররুখ সেন্টার, নজুমিঞা হাট, চট্টগ্রাম।