বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের দ্রুত স্বদেশে প্রত্যাবাসন করা হবে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক–ই–আজম বীর প্রতীক। তিনি বলেন, আমরা চাই না আর কোনো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করুক।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জাতিসংঘ ও দেশের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা ফারুক–ই–আজম বলেন, সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে কিছু কিছু রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে। তবে নতুন করে কত রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে তা জানে না সরকার। তাদের তালিকা করা হচ্ছে। তালিকা হলেই সরকার এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। এর আগে দুপুরে উপদেষ্টা ফারুক–ই–আজম উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি, ধর্মীয় নেতা ও নারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি উখিয়া আশ্রয় শিবিরের ক্যাম্প–৪, ৫ ও ৮/ওয়েস্টের বিভিন্ন ব্লক পরিদর্শন করেন। ক্যাম্পে পৌঁছে তিনি প্রথমে হোপ ফাউন্ডেশন ফর উইমেন এন্ড চিলড্রেন অব বাংলাদেশ কর্তৃক পরিচালিত হোপ ফিল্ড হসপিটাল পরিদর্শন করেন। এ সময় হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চিকিৎসা সেবা নিয়ে মতবিনিময় করেন এবং হাসপাতালের সুযোগ সুবিধা দেখেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য সেবা ও মানবিক সহায়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
পরে তিনি আশ্রয়শিবিরে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা পরিচালিত মানবিক সহায়তা কর্যক্রম বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ই ভাউচার সেন্টার এবং শরণার্থীদের লার্নিং সেন্টার পরিদর্শন করেন।
এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবর্তন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, হোপ ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কে এম জাহিদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।