রাঙ্গুনিয়ায় চাঞ্চল্যকর খোরশেদ আলম হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। আর্থিক লেনদেনের ঝামেলা থেকে সৃষ্ট এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত ফেসবুকে অপপ্রচার সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. বেলায়েত হোসেন। গতকাল শুক্রবার বিকালে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানা কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি জানান, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার লালানগর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় আবদুল খালেকের ছেলে রাজমিস্ত্রী মো. খোরশেদ আলম (৩৪) নির্মমভাবে খুন হন। অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন সশস্ত্র ব্যক্তি খোরশেদ আলমকে অতর্কিতভাবে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী ইমু আকতার দৌড়ে এলে আসামিরা দ্রুত পালিয়ে যায়। বাদীর অভিযোগে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর হত্যা মামলা রুজু করা হয়।
এএসপি মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, এটি ছিলো একটি ক্লুলেস হত্যাকাণ্ড। কিন্তু তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও বিশ্বস্ত সোর্সের মাধ্যমে সন্দেহভাজন প্রধান আসামি মো. সাইফুল আজমকে (২৪) শনাক্ত করে গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সময় তার পরিহিত লুঙ্গি ও শার্ট জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া ধস্তাধস্তির সময় আসামির হাতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরা দ্বারা কাটা জখম হওয়ার চিহ্ন পাওয়া যায়। গ্রেফতার সাইফুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
খুনের রহস্য উন্মোচনের বিষয়ে তিনি বলেন, খুনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের বিশেষ তৎপরতায় এই হত্যকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। ভিক্টিম এবং হত্যাকারী দুজনেই প্রতিবেশী এবং পূর্ব পরিচিত। তাদের মধ্যে পারিবারিক ও সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। আসামি ভিকটিমের বড় ভাইয়ের মাধ্যমে বিদেশে গিয়েছিল এবং দেশে এসেছে তিন মাস মতো হয়। তাদের মাঝে এই সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের ঝামেলা ছিলো। এসব কারণেই মূলত এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। তবে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া পরকিয়া সংক্রান্ত কোন বিষয় পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান। তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান এএসপি বেলায়েত হোসেন।