আমেরিকায় নিষিদ্ধ হলো টিকটক, এরপর কী?

| সোমবার , ২০ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৭:৪০ পূর্বাহ্ণ

মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় শুক্রবার। ট্রাম্প বলেছেন, এর ঠিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট টিকটকের আপিল খারিজ করে দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে টিকটককের সর্বশেষ আইনী পাথটিও বন্ধ হয়ে গেছে। মার্কিন আদালত বলছে, নতুন যে আইনের ফলে টিকটক নিষিদ্ধ হয়ে গেল, সেটি টিকটক বা দেশটিতে এর ১৭ কোটি ব্যবহারকারীর জন্য প্রথম সংশোধনীর অধীনে পাওয়া অধিকার লঙ্ঘন করেনি। খবর বিডিনিউজের।

কিন্তু দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের এ সিদ্ধান্ত কি সত্যিই আমেরিকায় এর যবনিকা টানবে? এমন প্রশ্ন তুলে এর নানা সম্ভাবনা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।

হোয়াইট হাউস বলছে, সময়টিই এমন যে, আইনটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব কার্যত ট্রাম্প প্রশাসনের হাতে পড়বে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পরদিনই তিনি নতুন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিচ্ছেন। আর, ডনাল্ড ট্রাম্প টিকটককে একটি লাইফলাইন দেবেন বলে আগেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। তাহলে এরপর কী হচ্ছে?

ট্রাম্প কি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারবেন? : শনিবার ট্রাম্প বলেছেন, তিনি টিকটককে নিষেধাজ্ঞা থেকে ৯০ দিনের একটি ছাড় দেবেন। এনবিসি নিউজকে তিনি বলেছেন, সোমবার এ নিয়ে একটি ঘোষণা আসতে পারে। কিন্তু প্ল্যাটফর্মটি নিষিদ্ধ করার নতুন আইন কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই অ্যাপটি মার্কিন ব্যবহারকারীদের জন্য অফলাইন হয়ে যায়। অ্যাপটি খুললেই সেখানে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছেএমন একটি বার্তা দেখাচ্ছে।

ওই বার্তায় টিকটক জুড়ে দিয়েছে, সৌভাগ্যক্রমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর টিকটক যেন ফের চালু করা যায় সেটি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন।

মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় শুক্রবার। ট্রাম্প বলেছেন, এর ঠিক আগে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন বাণিজ্যসহ নানা বিষয়ে। এর মধ্যে টিকটক প্রসঙ্গও ছিল। সোশাল মিডিয়ায় করা পোস্টে তিনি লেখেন, আশা করছি আমরা একসঙ্গে অনেক সমস্যার সমাধান করব এবং কাজ খুব শিগগিরই শুরু হবে। ট্রাম্প প্রশাসনে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক পরামর্শক হিসাবে কাজ করবেন মাইক ওয়াল্টজ।

বৃহস্পতিবার তিনি ফঙ নিউজকে বলেন, নতুন প্রেসিডেন্ট টিকটককে টিকিয়ে রাখার উপায় খুঁজছেন। আমি নির্বাহী আদেশ টপকে কিছু বলতে চাই না। কিন্তু, আমরা একটি সমাধানে আসার চেষ্টা করছি। বাইডেন প্রশাসন আগেই বলে দিয়েছে, তারা আইনটি প্রয়োগ করবে না।

ফলে, ট্রাম্পের জন্য বিকল্প হতে পারে মামলাটি চলতে দেওয়া, আইনটিও বলবত হতে দেওয়া, তবে বিচার বিভাগকে (ডিওজে) বিষয়টি উপেক্ষা করতে বলা। এর মধ্যে সরকার অ্যাপল এবং গুগলকে বলবে যে, অ্যাপ স্টোরে টিকটক অ্যাপটি রাখার জন্য তাদের সাজা পেতে হবে না। যার অর্থ হচ্ছে, আইনটি বহাল থাকবে ঠিকই, তবে এর কোনো গুরুত্ব থাকবে না।

অ্যাপলগুগল অবশ্য এ নিয়ে অস্বস্তিতে থাকবে, কারণ, তারা আইন ভাঙছে। তারা তখনই স্বস্তি বোধ করবে যখন প্রেসিডেন্ট তাদেরকে আক্ষরিকভাবেই কথা দেবেন যে, তাদেরকে এ নিয়ে কোনো ঝামেলায় পড়তে হবে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ৩.২৬ কোটি টাকা
পরবর্তী নিবন্ধনির্বাচন নয়, শান্তিকে অগ্রাধিকার দিন : মিয়ানমারকে আসিয়ান