সঙ্গে যে ছিলো সে আমি।
এখন বস্তুত আমাকে রেখে যেতে চাই,
নিদেন ঘরের কোণে।
সেখানে কেউ নেই, বসত কেবল বেবাক শূন্যতা।
তারা নিরিবিলি ঘষে দেয়,
প্রাপ্তির বৈভব হারানো ঘুম পলাতক চাতালে।
আলো ফুটলে মিথ্যা তামাশার দেয়ালে —-
খিলান দিয়ে বেড়ায়।
তাতে শুধু আমি আর আমার মধ্যে লড়াই।
নিভৃত মন্থনে ঝড় ওঠে, তীব্র দ্রোহে।
হৃদ চিলেকোঠার নীল চত্বরে।
খড়ের পুতুলের মতো মিইয়ে গেলে —–
আফ্রিকার গভীর অরণ্যের মতো,
একা কেবল একা শুধু শব্দের আবাদ।
যে শব্দ কবিতায় মুড়িয়ে, জানতে চায় আমার আমিকে।
সে তো বদলে গেছে অতি সংগোপনে।
চোখের জলে অথৈই জোয়ারে, দুঃখের পারাবারে।
নদী যেমন কাঁদে নিশিতের বাঁক বদলে—-
পাহাড়ও ক্ষয়ে যায় চরম অভিমানে।
পাখিরা কখন ঘর ছাড়ে, একমাত্র জানে পক্ষী বিশারদে।
প্রতিক্ষণ আগুনের আঁচে সেঁকে নিতো,
নিজেকে তুল তুলে রুটির মতো।
এতো কাল সেজেগুজে কেটে গেল মায়ার সংসারে।
যেখানে ফোঁটা ফোঁটা মেঘ জলে হুল বেঁধে দেয়,
অজান্তে কাটে কচ কচ করে শব্দহীন করাত।
হাত, পা, মস্তক ভেসে গেছে সাগরে —-
সময়ের বিসর্জনে খড়ের প্রতিমার।
এখন আমি তো নই, আর আমার।