‘আমি কখনো আমেরিকা যাইনি, যাবও না’ আমেরিকার ভিসানীতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শেষ কার্যদিবসে এমন মন্তব্য করেছেন বিদায়ী প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের প্রবেশমুখ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। এ সময় নতুন প্রধান বিচারপতি, আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তখন এক সাংবাদিক আমেরিকার ভিসানীতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, এটা নিয়ে আমি অত মাথা ঘামাই না। এটা (বাংলাদেশ) স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। এই রাষ্ট্র ১৯৭১ সালে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে। তখন যারা ভয় দেখিয়েছে, তারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল। আমি এতে বিচলিত নই।
তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, আমি কখনো আমেরিকা যাইনি, যাবও না। খবর বাংলানিউজের।
বিচার বিভাগ নিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর আমি চেষ্টা করেছি, বিচার বিভাগের চাকাকে গতিশীল করার। তবে আরও বেশি পরিমাণ মামলা নিষ্পত্তি করতে পারলে ভালো হতো। এভাবে সুপ্রিম কোর্ট ও নিম্ন আদালতে নিষ্পত্তির হার চলমান থাকলে ৪/৫ বছরের মধ্যে মামলাজটমুক্ত বিচার বিভাগ পাবে দেশের জনগণ।
তিনি বলেন, মামলাজট নিরসনে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের দিয়ে কমিটি গঠন করে দিয়েছিলাম। কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন জেলায় গিয়ে বিচারকদের দিক নির্দেশনা দিয়ে মামলা নিষ্পত্তিতে ভূমিকা রেখেছেন।
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আরও বলেন, আমি এক বছর ৮ মাস ২৫ দিন প্রধান বিচারপতির পদে দায়িত্ব পালন করেছি। এই সময়টাকে আমি সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছি। কখনো পরিবারের সুখ–শান্তির দিকে তাকাইনি। প্রতিটি মুহূর্ত বিচার বিভাগের উন্নতির জন্য সময় দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের জন্য রেকর্ডরুম, হাইকোর্ট মাজার মসজিদের কাজটি সম্পন্ন করে যেতে পারলে ভালো লাগতো। কিন্তু এত অল্প সময়ে তো আর সব ইচ্ছা পূরণ হয় না।