প্রতিটি মানুষ নিষ্পাপ শিশু হিসেবেই জন্ম নিয়ে শিশু থেকে কৈশোর পর্যন্ত পারিবারিক , পারিপার্শ্বিক এবং সামাজিক শৃঙ্খলার মাঝে কিছু সূনির্দিষ্ট নিয়মের বেড়াজালে বেড়ে উঠে। মানুষ ভাল বা মন্দ চরিত্রে পরিণত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিজেই নিয়ে থাকে এক্ষেত্রে পারিবারিক সুশিক্ষা অথবা পারিপার্শ্বিক পরিবেশ এবং পরিস্থিতি কিছুটা প্রভাব বিস্তার করলেও সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে মানুষ নিজের সিদ্ধান্ত আসলে নিজেই নিয়ে থাকে। প্রেক্ষাপট বিবেচনায় হয়ত আমরা ভাল মন্দ বিচার করেই ফেলি। আমরা সহজেই বলি তিনি ভাল আর উনি খারাপ আবার তিনি সুদ, ঘুষ সহ নানা অনিয়মে জড়িত আর উনি মসজিদ , মন্দির এবং দানবীর যার হয়ত কোনটাই সত্যি নয় বা সত্যি কিন্তু আমাদের আগ বাড়িয়ে একজনের সম্পর্কে যে সনদ দেওয়ার প্রবণতা তা একজন মানুষের উপর কিছুটা প্রভাব পড়ে যেমন মানুষ কৈশোরে পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে কিছুটা প্রভাবিত হয়। আমরা মানুষ হিসেবে খুব দ্রুত অন্যকে নিয়ে সিদ্ধান্তে আসি অথচ আমরা নিজেরাও হয়ত একই চরিত্রের বা আমাদের মন্তব্যটা শুধুই আমাদের নিজস্ব যা আমরা অন্যদের সম্পর্কে বলেই তৃপ্ত হচ্ছি নিজের কোন হীন স্বার্থে । আমাদের দেশে একসময় সমাজ ব্যবস্থা ছিল যা সমাজের রীতিনীতির সিদ্ধান্ত দিত তখন মনে হত তা একদম অমুলক আর এখন সমাজ ব্যাবস্থা না থাকায় মনে হয় আগেই ভাল ছিল । মানুষের মধ্যে একটা পারস্পরিক সম্পর্ক ছিল যা একটা নি:ষ্পাপ শিশুর উপরেও প্রভাব বিস্তার করত আর এখন তা ভেঙ্গে শংকর চরিত্রের সমাজ হওয়াতে হয়ত নিষ্পাপ শিশু যেমন প্রভাবিত হচ্ছে তেমনি মানুষের মধ্যে খারাপ হয়ে নিজেকে বড় করার প্রতিযোগিতা সুস্পষ্ট হচ্ছে। তাই আসুন প্রতিটি শিশুকে পারিবারিক এবং পারিপার্শ্বিক সুশিক্ষা পেতে সাহায্য করি যেন আগামীর বাংলাদেশ হিংসে হানাহানি মুক্ত এবং মেধার বাংলাদেশ হয়।