সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসী শেখ ফয়সলের বাড়ি ফরিদপুরের চর ভদ্রাসন উপজেলার হাজীপাড়া গ্রামে। সাড়ে ছয় বছর আগে ভিজিট ভিসায় আমিরাত এসেছিলেন, তারপর ভিসা জটিলতায় আর দেশে ফিরতে পারেননি। দৈনিক ৩০ দিরহাম বেতনে গাড়ির পেইন্টারের কাজ দিয়ে ফয়সল শুরু করেন কর্মজীবন। এই কয় বছরে কাজ শিখে তিনি এখন পাক্কা রঙের কারিগর। অবৈধ অভিবাসীদের জন্য আমিরাত সরকার ঘোষিত সাম্প্রতিক সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়ে তিনি এখন বৈধ। ওয়ার্ক পারমিট ও আইডি হাতে এসে গেছে। এক লাফে তার বেতন বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৩০০ দিরহাম, বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক লাখ দশ হাজার। শারজা ৪ নম্বর সানাইয়ার আল ফুতেইমের কাছে একটি মোটর ওয়ার্কশপে রঙমিস্ত্রির কাজ করছেন ফয়সল। অনেক খুশি তিনি, বাড়ি থেকে ঘুরে আসার স্বপ্ন ঝিলিক দিচ্ছে তার দুচোখে। গত বৃহস্পতিবার আমিরাতে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য ঘোষিত দুই মাসের সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ সমাপ্তির শেষদিনে তার মেয়াদ আরো দুই মাস বৃদ্ধি করায় শেখ ফয়সলের মতো আরো অনেকেই দেশটিতে নিজেদের অবস্থান বৈধ করতে আশাবাদী হচ্ছেন। খবর বিডিনিউজের।
আমিরাতের ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টিটি, সিটিজেনশিপ, কাস্টমস অ্যান্ড পোর্ট সিকিউরিটি ঘোষণা করেছে যে ইউএই ভিসা অ্যামনেস্টি প্রোগ্রামের মেয়াদ আরো ২ মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে। চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। গত ২ মাসে, বিশেষ করে অক্টোবর মাস জুড়ে আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাস, দুবাই কনস্যুলেট, ইমিগ্রেশন সেন্টার, তাসহিল বা আমের সেন্টারে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিতে আসা প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভিড় ছিল।