পত্রিকায় আমার কোনো লেখা ছাপানো হলে সবার আগে বাবাকে দেখাতাম। আজ সেই বাবাকে নিয়েই লিখলাম। এ বছরের শুরুতেই আমার বাবাটা নাই হয়ে গেলেন। বাবার জীবন ও কর্ম নিয়ে ছোট্ট পরিসরে আলোচনা করা সম্ভব না। ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন সৎ এবং কর্মঠ। তাঁর মেধা, মনন ও সৃজনকর্র্মের জন্য তিনি সবার শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। মানুষের কল্যাণে তিনি সবসময় নিবেদিত ছিলেন। ওনার বিকল্প ওনি নিজেই। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনমনীয় আপোষহীন ছিলেন তিনি। সারাজীবনই দেখেছি নি:স্বার্থভাবে মানুষের পাশে থাকতে। যেসব মানুষেরা অন্যের জন্য সর্বোচ্চটা দিয়ে করে যায় তাঁরা চিরকালই বেঁচে থাকে তাঁদের কর্মে, তাঁদের আদর্শে। আমার বাবার মতো ধৈর্যশীল মানুষ খুব কমই হয়। দীর্ঘ ৪০ বছর নিষ্ঠার সাথে রেল অঙ্গনে তিনি বাণিজ্য করেছেন। রেল পরিবারের কৃতি সন্তানদের সংগঠিত করে ‘রেল পরিবার সুহৃদ সংসদ’ সংগঠনের প্রথম চিন্তা করেন এ মানুষটি। একজন বাবা সন্তানের জন্য কতোভাবে অবদান রেখে যান তার হিসেব কেউ কখনো দিতে পারে না। যেকোনো কঠিন পরিস্থিতিতে বাবারাই সন্তানদের আগলে রাখেন। আমার যেকোনো ভালো কাজে বাবা সবসময় এপ্রিশিয়েট করতেন। যেকোনো সফলতা অর্জনের কথা বাবাকেই সবার আগে বলতাম। বাবা নেই তাই এখন আর মা–ডাক শোনা হয় না। বাবার অপূর্ণতা পৃথিবীর কোনো কিছু দিয়ে পূর্ণ করা যায় না। পৃথিবীতে সবকিছু বদলাতে পারে কিন্তু বাবা–মায়ের ভালোবাসা কখনো বদলায় না। একমাত্র বাবা–মায়েরাই পৃথিবীতে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসেন।