আমাদের বাড়িতে সাম্প্রদায়িক হামলা ছিল না : রাহুলের স্ত্রী

| বুধবার , ১৪ আগস্ট, ২০২৪ at ৬:৫৬ পূর্বাহ্ণ

সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন শিল্প স্থাপনায় হামলার মধ্যে আক্রান্ত হয় সঙ্গীতশিল্পী রাহুল আনন্দের বাড়িও। এই ঘটনাকে কেউ কেউ সাম্প্রদায়িক হামলা বললেও রাহুল আনন্দের পরিবার এবং তার ব্যান্ডদল জলের গানের সদস্যরা বলছেন, এটি কোনো সাম্প্রদায়িক হামলা ছিল না। ৩২ নং বাড়ি ধ্বংস করার উন্মাদনায় আমার ঘর পুড়ে গিয়েছে। রাহুলের স্ত্রী ঊর্মিলা শুক্লা এ কথা বলেছেন। তবে সেদিনও কিছু মানুষ এগিয়ে এসেছিল এবং তারা চেয়েছিল অন্যদের বুঝাতে। কিন্তু কেউ কারও কথা শোনার মতো অবস্থায় ছিল না বলে জানান শুক্লা। খবর বিডিনিউজের।

জলের গানের সদস্য ও প্রাচ্যনাটের নাট্যকর্মী এবি সিদ্দিকী বলেন, হিন্দু ধর্মের বলে রাহুল দা’র বাড়িতে হামলা হয়েছে, এই কথাটি মিথ্যা। ধানমণ্ডি ৩২এর রাস্তার শুরু থেকে সকল বাড়ি আক্রমণ, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের শিকার হয়েছে। এই রকম বিপদ যার মাথার উপর দিয়ে যায় স্বাভাবিকভাবে তার বারংবার স্ট্যাটাস দিয়ে জানানোর মন মানসিকতা থাকে না।

বিভ্রান্তি না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, অনেকের অনেক রকম অনুসন্ধিৎসূ প্রশ্ন কিংবা মতামত থাকবেএটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এমন ঘটনা যার ওপর দিয়ে ঘটে যায় কিংবা যারা এই ধরনের বিপদের ভেতর দিয়ে যায়, তারা স্বাভাবিক মানুষের মতো এত কিছু চিন্তা করে পুঙ্খানুপুঙ্খ স্টেটমেন্ট দিতে পারে না। এই বিপদগ্রস্ত সময় যেকোনো মানুষের মতো রাহুল দাও মানসিকভাবে ভীষণ বিপর্যস্ত। এই বিষয়গুলো নিয়ে বিভ্রান্তি আর না বাড়ানোর জন্য সকলের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ থাকল।

রাহুল আনন্দের স্ত্রী ঊর্মিলা শুক্লা গতকাল ফেইসবুকে লিখেছেন, বাইরে জনতার বিজয় মিছিলের চিৎকার। হঠাৎ দেখলাম পিছনের সবগুলো বাড়িতে আগুন। আমরা মুহূর্তেই দিশেহারা হয়ে পড়লাম। বুঝলাম ৩২ এর সবগুলো বাড়িতেই আগুন লাগানো হয়েছে। আমাদের বাড়িটা সান্তুর রেস্টুরেন্টের পিছনে। পাশে আমাদের বাড়িওয়ালা আইনুল হকএর তিনতলা বাড়ি, সেখানে প্রথম ভাঙচুর হয় ও আগুন দেয়। যখন সান্তুরের গেইট দিয়ে উল্লাসে জনতা ঢুকে পড়েছে আর সান্তুরে আগুন ধরাচ্ছে তখন আমরা বুঝতে পারছিলাম না কি করব। আমার যে ঘরভর্তি বাদ্যযন্ত্র। তাদেরকে বুঝানোর জন্য এগিয়ে গেলাম পরিবারের সবাই। তারা তখন ৩২ ধ্বংসের উল্লাসে কোনো কিছুই শোনার চেষ্টা করেনি।

সেদিন ৩২ নম্বরের আরও অনেক বাড়িতেও আগুনলুটপাটের ঘটনা ঘটে জানিয়ে শুক্লা বলেন, একজন বলল, ১৪ বছরের রাগ। এই এলাকা ধ্বংস করবেই। বরং আপনাদেরকে আমরা সাবধানে বের করে দিচ্ছি। আপনারা এখান থেকে চলে যান। ৩২ ধ্বংস করার উন্মাদনায় আমার ঘর পুড়ে গিয়েছে। শুধু আমার নয় আমাদের বাড়ির মালিকের ঘরও পুড়েছে। আশপাশের আরও কিছু বাড়িঘরও পুড়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআমরা সবাই এক পরিবার, বিভেদ করার প্রশ্নই আসে না
পরবর্তী নিবন্ধবরইছড়ি-ঘগড়া সড়কের ওপর ধস