ত্রিভুজের মতো ভাঁজ করা জীবনের হিসাব খুঁজতে খুঁজতে
বৃত্তের চক্রে আটকা পড়ে আছি।
ডুবে যাওয়া জাহাজের নাবিকের মতো অচেনা দ্বীপের
রাক্ষস– খোক্ষসের ঘোরটপে বন্দী করে রেখেছে
নিমর্মতার জাঁদরেল জেলার!
আমি বৃত্তের কেন্দ্র খুঁজি, কেন্দ্র নেই, ব্যাস খুঁজি–ব্যাস নেই!
জীবনের কম্পাসটা লুট হয়ে গেছে, লুটেরা দস্যুদের করতলে।
এখন আর উত্তর–দক্ষিণ, পূর্ব–পশ্চিম কিছুই চিনি না।
চিনি কেবল নিজেকে! নিজের অন্তরের ক্ষত–বিক্ষত
নক্ষত্রের মানচিত্রে ধংসস্তুপে ডুবে থাকা অবয়ব!
পিতামহের সারেং জীবন বাউণ্ডুলে করেছিল সমুদ্রের
গাঙচিল আর আমার রক্তের প্লাটিলেট!
আমি এখন জীবন খুঁজি, খুঁজি পীথাগোরাসের অতিভূজ!
এই ভাবেই ছিঁড়ে–ছুঁড়ে ; কেটে– কুটে খেয়ে ফেলছে
যে জীবনের রক্ত মাংস, তার মহাপ্রলয়ের একমাত্র কংকাল আমি।
আমাকে ক্ষমা করো মহাজীবন, ক্ষমা করো অনন্ত
কষ্টের প্রান্তরেখা, ক্ষমা করো বেঁচে থাকার যাবতীয় মৃত্তিকা প্রণয়।