নিয়মিত অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার ইনজুরির কারণে বাংলাদেশ সিরিজে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পান এইডেন মার্করাম। নেতৃত্ব নিয়ে ১০ বছর পর উপমহাদেশে দলকে জয় এনে দিয়েছেন। অনেকটা অনুমিতভাবেই তাই তাদের শিবিরে স্বস্তির হাওয়া। কিন্তু বাংলাদেশ দল যেন অনেকটাই বিপরীত। পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পর টানা তিন ম্যাচে পর্যুদস্তু হয়েছে তারা। এর বাইরে মাঠের বিভিন্ন বিষয় তো আছে। সিরিজ শুরুর আগে সাকিব আল হাসান ফিরবেন কি না এ নিয়ে আলোচনার্ ছিল। এখন সামনে এসেছে নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্ব ইস্যু। প্রতিপক্ষের এমন টালমাটাল অবস্থা নিয়ে কী ভাবনা মার্করামের ? তিনি বলেন এটাতে আমরা খুব বেশি মনোযোগ দিচ্ছি না । আমাদের দলের পুরোপুরি বাইরের ব্যাপার এসব। আমরা সবসময় এমন একটা দল, যারা নিজেদের পরিবেশ শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যকর রাখতে ও ম্যাচের সময় পারফর্ম করতে তৈরি থাকি। আমরা যেহেতু জানি, পারফরম্যান্সটা নিশ্চিত কিছু না কিন্তু আমরা অন্তত পরিবেশটা ভালো রাখতে পারি। বাংলাদেশ দল যা কিছুর ভেতর দিয়েই যাচ্ছে, তা দুর্ভাগ্যজনক আর এটাতে আমাদের কিছুই করার নেই। আমরা চেষ্টা করবো ভালো ক্রিকেট খেলার। এরপর দেখা যাক পাঁচদিন পর কী হয়। মার্করাম নিজেদের দিকেই নজর রাখতে চান। কিন্তু প্রতিপক্ষ যখন মাঠের বাইরের বিভিন্ন ইস্যুতে ব্যস্ত থাকে তখন সেটা কি প্রতিপক্ষ হিসেবে বাড়তি সুবিধা দেয়? এমন প্রশ্নের জবাবে মার্করাম বলেন সত্যি কথা বলতে কি আমার এ বিষয়ে কোনো ধারণাই নেই। আমি নিশ্চিত না পরিবেশটা কেমন আর ওখানে কি হচ্ছে। এ ধরনের বিষয় আমার মন্তব্য করার মতো না যে এটা কোনো সুবিধা দেবে কি না। কিন্তু একই সঙ্গে আমাদের মনোযোগ নিজেদের দলে ও ভালো ক্রিকেট খেলার চেষ্টার দিকেই আছে। শুরুতে প্রথম টেস্টেই অধিনায়কত্ব করার কথা ছিল মার্করামের। কিন্তু বাভুমা ইনজুরি থেকে সেরে না উঠায় দ্বিতীয় টেস্টেও নেতৃত্ব দেবেন তিনি। এখন তার সামনে হাতছানি দিচ্ছে সিরিজ জয়ও। অধিনায়কত্ব কতটা উপভোগ করছেন ? জবাবে মার্করাম বলেন এটা খুব সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দেওয়া হয়েছে। তবে সত্যিই দারুণ ব্যাপার। দলকে নেতৃত্ব দিতে পারাটা সবসময় বিশেষ ব্যাপার । বিশেষ করে যখন টেস্ট ম্যাচের দলকে নেতৃত্ব দেবেন। আমি পুরোপুরি উপভোগ করেছি। অবশ্যই এখানকার কন্ডিশন দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে একদমই আলাদা। এটা দারুণ খেলায় অধিনায়ক হিসেবে প্রভাব রাখার চেষ্টা করা। কিন্তু দিনশেষে আমাদের খেলোয়াড়রাই তফাৎ গড়ে দেয়।