১৯৭১ সনের ২৫ মার্চ শেষ রাতে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এদেশের সর্বস্তরের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করি। যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বুদ্ধিজীবীদের জীবনের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি সেই মুক্তিযোদ্ধা ও বুদ্ধিজীবীদের সম্মান করতে হবে আমাদের। তাদের স্বপ্ন আমাদেরকেই পূরণ করতে হবে। কিন্তু এই স্বাধীন বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের অনাচার প্রতিনিয়ত ঘটে যাচ্ছে। হত্যা, খুন, চুরি, ডাকাতি, ইভটিজিং, ধর্ষণ, চোখের সামনে ব্যভিচার প্রতিনিয়ত ঘটছে।
যার কারণে স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ এখন স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছে না। আজকাল অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলেও মানুষের জীবন সংকটাপন্ন হয়। এর কারণে স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ এখনও প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ পাচ্ছে না। মানুষে মানুষে বাড়ছে বৈষম্য হিংসা বিদ্বেষ। এর ফলে মানুষের সাথে মানুষের দূরত্বের সৃষ্টি হচ্ছে। প্রকৃত স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার জন্য মানুষে মানুষে সম্প্রীতি ঐক্যের মেলবন্ধন সৃষ্টি করতে হবে। স্বাধীনতার লক্ষ্য অর্জনে মানুষকে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। কারণ একতাই বল। ঐক্যবদ্ধ জাতিই পারে দেশকে প্রকৃত স্বাধীন করতে। আমাদেরকে দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে হবে। সবার সাথে সুন্দর ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করতে হবে।
হত্যা, খুন, ডাকাতি, ইভটিজিং, ধর্ষণ, ব্যভিচার বন্ধ করতে হবে। এগুলো বন্ধের জন্য কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। তাহলেই আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষ প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ পাবে এবং এর মাধ্যমেই মুক্তিযোদ্ধা, বুদ্ধিজীবীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করা যাবে। আমরা এখনো প্রকৃত স্বাধীনতা খুঁজছি। শোষণমুক্ত, বৈষম্য ও দারিদ্র্যমুক্ত স্বদেশ গড়াই স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা তা যেন আমরা ভুলে না যাই।
নূরতাজ তাফহিমা খান
দশম শ্রেণি, বিজ্ঞান বিভাগ, অপর্ণাচরণ সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।