কাঙ্খিত বৃষ্টিপাতে রাঙ্গুনিয়ায় ইতিমধ্যেই আমনের বীজতলা পরিপুষ্ট হয়ে ওঠেছে। আর কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হবে পুরোদমে রোপণ কার্যক্রম। এখন মাঠ প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, আমন মৌসুমে এবার ১৫ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার দুই হাজার কৃষকের মাঝে প্রণোদনা হিসেবে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছিলো। ইতিমধ্যেই কৃষকের বীজতলা করা হয়ে গেছে। উপজেলার কোথাও কোথাও রোপণ কার্যক্রমও শুরু হয়ে গেছে। তবে আর সপ্তাহখানের মধ্যেই পুরোদমে রোপণ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। মাঠে কৃষকদের সহায়তায় কৃষি অফিস সর্বাত্মক সহায়তা করে যাচ্ছে বলে জানান তারা।
চট্টগ্রামের শস্যভান্ডার খ্যাত রাঙ্গুনিয়ার গুমাইবিলে গিয়ে দেখা যায়, আমন চারা রোপণের জন্য মাঠ প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। কেউ বৃষ্টির পানি জমিয়ে সেচ দিচ্ছেন, কেউ মাঠে দিচ্ছেন হাল। কেউবা বীজতলা পরিচর্যায় ব্যস্ত। অনেকেই আবার বাজার থেকে চারা রোপণের জন্য শ্রমিক নিয়ে আসছেন।
গুমাইবিলে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার জানান, গুমাইবিলের ৩ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমিতে এবার আমন রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিলের ৭৭৫ হেক্টর আমন বীজতলা করা হয়েছে। এবার বিলে ব্রীধান–৪৯, ৫১, ৫২, ৭৫, ১০৩, সাদা পাইজামসহ বিভিন্ন উন্নত জাতের আমন আবাদ হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস জানান, আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া কৃষকদের সর্বাত্মক সহায়তা করা হচ্ছে। আশাকরি বরাবরের ন্যায় এবারও আবাদ ও ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।