আমদানিকারক ও সিএন্ডএফের বিরুদ্ধে কাস্টমসের মামলা

সরিষা ঘোষণায় পোস্তদানা আমদানি

আজাদী প্রতিদেন | শনিবার , ৫ জুন, ২০২১ at ৬:২৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সরিষা বীজের ঘোষণায় আমদানি নিষিদ্ধ পপি সীডস বা পোস্তদানা আমদানির ঘটনায় আমদানিকারক সৈয়দ রাজু আহমেদ (৩৯) এবং সিএন্ডএফ এজেন্টের মালিক অখিল চন্দ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার বন্দর থানায় কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা তাকমিম হাসান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং-২।
আমদানিকারক আজমাইন ট্রেড সেন্টারের মালিক সৈয়দ রাজু আহমেদ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার লালবাগ চকবাজারের আগা নওয়াব দেউড়ির সৈয়দ মো. গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। অন্যদিকে সিএন্ডএফ এজেন্ট হটলাইন কার্গো ইন্টারন্যাশনালের মালিক অখিল চন্দ্র মণ্ডল সাতক্ষীরার শ্যামনগরের হায়ালভাঙ্গি আটলিয়া গ্রামের শরৎ চন্দ্র মণ্ডলের ছেলে। মামলা এজাহারে বলা হয়েছে, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আজমাইন ট্রেড সেন্টারের স্বত্বাধিকারী সৈয়দ রাজু আহমেদ সরিষা বীজের পাশাপাশি লুকানো অবস্থায় পপি বীজ আমদানি করেছেন, যা আমদানি নীতি আদেশ ২০১৫-২০১৮ অনুযায়ী আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য। এক্ষেত্রে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আমদানি নিষিদ্ধ পপি বীজ আমদানি করেছেন এবং সিএন্ডএফ এজেন্ট হটলাইন কার্গো ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী অখিল চন্দ্র মন্ডলের সাথে পারস্পরিক যোগসাজশে পণ্য চালানটি খালাসে অপচেষ্টা করেছেন, যা দণ্ডনীয় অপরাধ। আমদানিকারক এবং সিএন্ডএফ এজেন্টের যোগসাজশে সরকারি রাজস্ব ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল এবং ব্যবসায়িক শৃঙ্খলা ভঙ্গের মাধ্যমে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণের বিরুদ্ধে কমিশনার অব কাস্টমসের পক্ষে থানায় এফআইআর দায়ের করা হলো। ঘটনায় অন্য কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তদন্তে তাদের অন্তর্ভুক্ত করারও অনুরোধ করা হলো।
জানতে চাইলে বন্দর থানার ওসি নিযাম উদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির দায়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে।
উল্লেখ্য, গত ১ জুন সরিষা বীজ ঘোষণায় মালয়েশিয়া থেকে আমদানি নিষিদ্ধ দুই কন্টেনার পপি সিডস (পোস্তদানা) জব্দ করে কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার কর্মকর্তারা। ৫৪ টন সরিষা বীজের ঘোষণায ৪২ টনই পোস্তদানা নিয়ে আসে পুরনো ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আজমাইন ট্রেড সেন্টার। চালানটি খালাসে আমদানিকারকের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিএন্ডএফ প্রতিনিধি ছিল হটলাইন কার্গো ইন্টারন্যাশনাল। তার পরদিন ২ জুন সিএন্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃক্ষ। এছাড়া পোস্তদানা আমদানির মাধ্যমে অর্থপাচার হয়েছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখছে কাস্টমসের এন্টি মানি লন্ডারিং ইউনিট।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপতেঙ্গার জেলেপাড়া থেকে মাইক্রোসফটে
পরবর্তী নিবন্ধব্যবসায়ীদের দুই হাত ভরে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী: ফখরুল