নগরীর ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর নয়ারহাট এলাকায় শিশু আলীনা ইসলাম আয়াত খুনে জড়িত আবির আলীকে (১৯) দুদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাদ্দাম হোসেন শুনানি শেষে তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে তদন্ত সংস্থা পিবিআইয়ের পক্ষ থেকে আবির আলীর ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালতে থাকা নগর পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন শাখার (নারী শিশু) কর্মকর্তা মো. জাফর আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আদালত সূত্র জানায়, মুক্তিপণ আদায়ের জন্য গত ১৫ নভেম্বর শিশু আয়াতকে অপহরণ করে নয়ারহাটে বাবার বাসায় নিয়ে যায় আবির আলী। আবির আয়াতদের বাড়িতে ভাড়ায় থাকে। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে মায়ের সেলাই মেশিন বিক্রি করে ৩০০ টাকায় একটি মোবাইল ফোন কিনে সে। আগে থেকে সংগ্রহে ছিল একটি বাংলালিংক সিম। কিন্তু সীমটি কাজ না করায় আবির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। কোনো উপায় খুঁজে না পেয়ে আয়াতকে খুনের সিদ্ধান্ত নেয়। একপর্যায়ে বাবার বাসায় শ্বাসরোধ করে আয়াতকে খুন করা হয়। সেখান থেকে পকেটবাজারে মায়ের বাসায় লাশ নিয়ে যায়। সেখানে বাসায় কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে বঁটি ও ধারালো ছুরি দিয়ে আয়াতকে ছয় টুকরা করে প্যাকেট করা হয়। এর আগে কেনা হয় পলিব্যাগ ও কচটেপ। একপর্যায়ে আওটার রিং রোড ও আকমল আলী রোড এলাকায় সাগরে দুই দফায় লাশের অংশগুলো ফেলা হয়।
আদালত সূত্র আরো জানায়, রিকশায় করে প্যাকেটভর্তি লাশের টুকরো ফেলে দিতে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য সিসিটিভিতে ধরা পড়ে। আবির আলীকে গ্রেপ্তার করলে সে খুনের দায় স্বীকার করে। লাশের টুকরো কোথায় ফেলা হয় তার কথাও পুলিশকে জানায়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আবির আলীর বাবা-মার ছাড়াছাড়ি হয়। এর জেরে নয়ারহাটের বাসা ছেড়ে পকেটবাজারে বাসা নেন মা।