প্রথম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৫০০’র বেশি রান করার পর ইনিংস ব্যবধানে হারে পাকিস্তান। ফলে দ্বিতীয় টেস্টের দল থেকে তিন সেরা তারকাকে বাদ দেয় পাকিস্তান। তিন স্পিনার নিয়ে দল গড়ে বাজিমাত করে। বিশেষ করে দুই স্পিনার সাজিদ খান এবং নোমান ধসিয়ে দেয় ইংলিশদের। ফলও আসে হাতেনাতে। দ্বিতীয় টেস্ট জিতে সিরিজে সমতা ফেরায় পাকিস্তান। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টেও দেখা গেল সাজিদ–নোমান ভেল্কি। ম্যাচের শুরু দুই প্রান্তে দুই স্পিনারের বোলিং দিয়ে। দুজন মিলেই করলেন প্রথম ৪২ ওভার। গোটা দিনে দুই দল মিলিয়ে ৯১ ওভারের ৮৮টিই করলেন স্পিনাররা। উইকেটের চরিত্র বোঝার জন্য যথেষ্ট এটিই। মুলতানের পর রাওয়ালপিন্ডিতেও প্রথম দিন দাপট দেখালেন স্পিনাররা। যদিও ইংল্যান্ডকে তিনশর নিচে থামিয়ে স্বস্তিতে নেই পাকিস্তানও। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিন ইংল্যান্ডকে ২৬৭ রানে গুটিয়ে দিয়ে পাকিস্তান করেছে ৩ উইকেটে ৭৩ রান। এখনও ১৯৪ রানে পিছিয়ে আছে স্বাগতিকরা। দুই দল মিলিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার পতন হওয়া ১৩ উইকেটের ১২টিই নিয়েছেন স্পিনাররা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে আশা জাগানিয়া শুরুর পর ধস নামে ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে। বিনা উইকেটে ৫৬ থেকে স্কোর হয়ে যায় ৫ উইকেটে ৯৮ ও ৬ উইকেটে ১১৮। এরপর কিপার–ব্যাটসম্যান জেমি স্মিথের ৬টি ছক্কা ও ৫টি চারের সাহায্যে ৮৯ রানের আগ্রাসী ইনিংস ও গাস অ্যাটকিনসনের সঙ্গে শতরানের জুটির কল্যাণে আড়াইশ ছাড়াতে পারে তারা। ইংল্যান্ড শিবিরে প্রথম আঘাতটা হানেন নোমান আলি। ২৯ রান করা ক্রাউলিকে ফেরান সামি আইয়ুবের ক্যাচ বানিয়ে। এরপর পরপর দুই ওভারে পোপ এবং রুটকে ফেরান সাজিদ খান। ৫২ রান করা বেন ডাকেটও শিকার হন নোমানের। হ্যারি ব্রুক এবং অধিনায়ক বেন স্টোকসকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলে দেন সাজিদ। এরপর প্রতিরোধ গড়েন জেমি স্মিথ এবং গাস অ্যাটকিনসন। ১০৫ রানের জুটি গড়েন দুজন। এজুটি ভাঙেন নোমান আলি। ৩৯ রান করা অ্যাটকিনসনকে ফিরতি ক্যাচ বানিয়ে ফেরান নোমান। এই দুজনের মধ্যে যখন উইকেটের প্রতিযোগিতা চলছিল তখন স্মিথকে ফেরান লেগ স্পিনার জাহিদ মাহমুদ। ৮৯ রান করে ফিরেন স্মিথ। শেষ পর্যন্ত ২৬৭ রানে থামে ইংল্যান্ড। অফ স্পিনার সাজিদ ১২৮ রানে নেন ৬টি, বাঁহাতি নোমান ৮৮ রানে ৩টি। অন্যটি নেন লেগ স্পিনার জাহিদ মাহমুদ। মুলতানে দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডের ২০ উইকেটের সবকটি ভাগ করে নেওয়া দুই স্পিনার সাজিদ খান ও নোমান আলি মিলে এবার প্রথম ইনিংসে নেন ৯ উইকেট।
জবাব দিতে নেমে ৩৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। আবদুল্লাহ শফিক ফিরেন ১৪ রান করে। ১৯ রান করা সাইম আইয়ুবকে ফেরান জ্যাক লিচ। আগের ম্যাচে অভিষেকে সেঞ্চুরি করা কামরান গোলাম ফিরেছেন মাত্র ৩ রান করে। এরপর অধিনায়ক শান মাসুদ এবং সৌদ শাকিল মিলে দিনটা পার করে দেনে। দুজনেই অপরাজিত আছেন ১৬ রান করে নিয়ে।