২০০২ সালে ব্রাজিল যখন সবশেষ বিশ্বকাপ জিতেছিল তখন রাফিনিয়ার বয়স মাত্র ৬। দুই দশক আগের সেই সব স্মৃতি তার মনে থাকার কথা নয়। তবে দেশের মানুষের একত্রিত হওয়ার, উল্লাসে ফেটে পড়ার ছবিটা পরিষ্কার। তেমনই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি দেখতে চান ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড। তিনি বলেন, দেশের মানুষের আরও একবার এক হওয়ার সময় হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানে আয়োজিত ২০০২ বিশ্বকাপে রেকর্ড পঞ্চম ও নিজেদের সবশেষ শিরোপা ঘরে তুলেছিল ব্রাজিল। ফাইনালে জার্মানিকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল রোনালদো-রিভালদোরা। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই উল্লাসে ফেটে পড়ে সারা বিশ্বে তাদের সমর্থকরা। ব্রাজিল জুড়ে বয়ে যায় আনন্দের জোয়ার।
সেই উৎসবের পর পেরিয়ে গেছে ২০ বছর। মাঝে হয়ে গেছে আরও চারটি
বিশ্বকাপ। কিন্তু জার্সিতে স্বপ্নের ছয় তারকা আর যোগ করতে পারেনি তারা। লম্বা একটা সময় ধরে শিরোপা জেতা হচ্ছে না ব্রাজিলের। সবশেষ চার আসরে তাদের সর্বোচ্চ অর্জন ঘরের মাঠে ২০১৪ সালে সেমি-ফাইনাল খেলা। অবশ্য সেখানে আরও বড় হতাশা লুকিয়ে। জার্মানদের বিপক্ষে যে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত হতে হয়েছিল তাদের। ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জিততে মরিয়া ব্রাজিলের মানুষ আরও একবার নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। কাতারে দলটির সেই অভিযানের অংশ বার্সেলোনার ফরোয়ার্ড রাফিনিয়াও। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলার হাতছানি ২৫ বছর বয়সী ফুটবলারের সামনে। বার্সেলোনা ওয়েবসাইটে গত সোমবার প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে রাফিনিয়া বলেন, ব্রাজিলের মানুষকে আবারও এক করতে আশাবাদী তিনি। স্বাভাবিকভাবেই সমর্থকরা ব্রাজিলের ষষ্ঠ শিরোপা জয়ের জন্য অধীর অপেক্ষায় আছে। আমরাও তাই। ২০০২ বিশ্বকাপের খুব বেশি কিছু আমার মনে নেই। কারণ আমি তখন খুব ছোট ছিলাম। তবে সেটা ছিল অবিশ্বাস্য ও অবর্ণনীয় এক অনুভূতি। ব্রাজিলের সব মানুষ এক হয়েছিল সেদিন। পরস্পরকে জড়িয়ে ধরেছিল। এখন আবারও আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করার ভালো সময় হয়েছে।