দ্বিতীয় দফায় নেতৃত্ব পাওয়ার পর ছয় মাস হয়েছে মাত্র । এর মধ্যেই বাবর আজম উপলব্ধি করে ফেললেন যথেষ্ট হয়েছে। এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার পাকিস্তান দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন স্টাইলিশ এই ব্যাটসম্যান। সামাজিক মাধ্যমে গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের সীমিত ওভারের দলের অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন বাবর। নিজের সিদ্ধান্তের কথা গত মাসেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) জানিয়ে দিয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ব্যর্থতার পর গত নভেম্বরে সব সংস্করণের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন বাবর। পরে পিসিবিতে পালাবদলের পর বর্তমান চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি দায়িত্ব নিয়ে বাবরের সঙ্গে কথা বলেন এবং গত ৩১ মার্চ সাদা বলের দুই সংস্করণের অধিনায়কত্বে ফেরানো হয় অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানকে। কিন্তু এই দফায় ১৪ টি–টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়েই শেষ হলো তার অধ্যায়। এই সময়ে কোনো ওয়ানডে ম্যাচ খেলেনি পাকিস্তান। দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণায় বাবর জানান, নিজের ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দেওয়া ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত।
পাকিস্তানের ছেলেদের দলের অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই দলকে নেতৃত্ব দিতে পারা অবশ্যই বড় সম্মানের। তবে সময় হয়েছে এখান থেকে সরে দাঁড়ানোর এবং খেলোয়াড় হিসেবে ভূমিকায় মনোযোগ দেওয়ার। নেতৃত্ব অবশ্যই ফলদায়ক। তবে এতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণের বাড়তি কাজ করতে হয়। আমি নিজের ব্যাটিংকে প্রাধান্য দিতে চাই। নিজের ব্যাটিং উপভোগ করতে চাই এবং পরিবারের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে চাই। যেটা আমাকে আনন্দ এনে দেয়। অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোয় সামনের পথচলায় আমার স্বচ্ছতা আসবে এবং নিজের খেলা ও ব্যক্তিগত উন্নতির চেষ্টায় বেশি প্রাণশক্তি পাব। গত নভেম্বরে বাবর প্রথম দফায় নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক করা হয় শান মাসুদকে। টি–টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব দেওয়া হয় শাহিন শাহ আফ্রিদিকে। ওয়ানডে দলের দায়িত্বও তাকে দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছিল তখন। কিন্তু একটি টি–টোয়েন্টি সিরিজের পরই সরিয়ে দেওয়া হয় আফ্রিদিকে। তার জায়গায় দায়িত্ব পাওয়া বাবরও বেশি দিন থাকলেন না নেতৃত্বে। প্রথম দফায় তার নেতৃত্বে পাকিস্তানের উল্লেখযোগ্য কিছু সাফল্য ছিল। তবে এই দফায় ছোট্ট অধ্যায় পুরোপুরিই ব্যর্থ। ১৪ টি–টোয়েন্টির কেবল ৬টি জিততে পেরেছে তার দল। গত টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় পাকিস্তান। তিনি নিজেও ব্যাট হাতে ছিলেন ব্যর্থ। পাকিস্তানকে এখন খুঁজতে হবে নতুন অধিনায়ক। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাদের পরের সিরিজ আগামী মাসে অস্ট্রেলিয়ায় তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি–টোয়েন্টি।