সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এম. মনজুর আলমের পিতা খাদেমুল আউলিয়া আবদুল হাকিম মাইজভাণ্ডারীর (র.) ২৭তম বার্ষিক ওরশ শরীফ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত বুধ ও বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে ছিল– মিলাদ, ওয়াজ মাহফিল, খতমে কোরআন, খতমে মাজমুয়ায়ে সালাওয়াতে রাসূল (সা.), খতমে গাউছিয়া শরীফ, সামা মাহফিল ও ভাণ্ডারী সঙ্গীত, মাজার জেয়ারত, এতিম, প্রতিবন্ধী, অসচ্ছল ও দুঃস্থ নারী–পুরুষ শিশুদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ এবং তাবারুক বিতরণ।
গতকাল বৃহস্পতিবার আলহাজ্ব মোস্তফা হাকিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ও আলহাজ্ব হোছনে আরা মনজুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের আয়োজনে উত্তর কাট্টলী আলহাজ্ব মোস্তফা হাকিম বিশ্ববিদ্যালয় দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা ও ওয়াজ মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম। এতে প্রধান মেহমান ছিলেন আওলাদে রাসূল (সা.) শাহজাদা–গাউছুল আজম মাইজাভাণ্ডারী (ক.) হযরত শাহসুফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী আল মাইজভাণ্ডারী (ম.জি.আ.)।
বিশেষ মেহমান ছিলেন ইরাকের বাগদাদ থেকে আগত আওলাদে রাসূল (স.), আওলাদে গাউছুল আজম জিলানী (রা.) হযরত শাহসুফী আল্লামা আবদুল কাদের আফিফ আবদুল কাদের আলী জিলানী (বাগদাদ শরীফ, ইরাক), ইরাকের বাগদাদ থেকে আগত আওলাদে রাসূল (স.), আওলাদে গাউছুল আজম জিলানী (রা.) হযরত শাহসুফী আল্লামা আবদর রহমান আফিফ আবদুর রহমান আলী জিলানী (বাগদাদ শরীফ, ইরাক), পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান। আলোচনা করেন জামিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ লিয়াকত আলী, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ ওয়ালী উল্লাহ আশেকী (ম.জি.আ.), মোহাম্মদ আবু তাহের, ওরশ এন্তেজামিয়া কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ নিজামুল আলম রাজু, মোহাম্মদ সরওয়ার আলম, মোহাম্মদ ফারুক আজম, মোহাম্মদ সাইফুল আলম, মোহাম্মদ সাহিদুল আলম, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলমগীর, উপাধ্যক্ষ বাদশা আলম, মাহফুজুল হক চৌধুরী, নেছার আহমদ, হাফেজ মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান আল কাদেরী, ছৈয়দ মোহাম্মদ ইউনুচ রজভী সহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার নেতৃবৃন্দ। ওরশে বক্তারা বলেন, আল্লাহ, আল্লাহর রাসূল ও স্বীয় পীরের প্রতি আবদুল হাকিম মাইজভাণ্ডারীর ছিল আদব, ভক্তি, মোহাব্বত।
তিনি ছিলেন বিনয়ের প্রতীক ও ত্যাগের দৃষ্টান্ত। ধর্মের জন্য, মানবসেবার জন্য আলহাজ্ব আবদুল হাকিম মাইজভাণ্ডারি (র.) জীবনে সবকিছু অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন। পার্থিব জগতের লোভ–প্রলোভন তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। অলি আউলিয়াদের প্রতি এত ত্যাগ অন্যদের মাঝে তেমনটা দেখা যায় না। দুই দিনের কর্মসূচিতে প্রায় হাজার হাজার ভক্ত ও আশেকান তবারুক গ্রহণ করেন।
আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন আওলাদে রাসূল (সা.) শাহজাদা–গাউছুল আজম মাইজাভাণ্ডারী (ক.) হযরত শাহসুফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী আল মাইজভাণ্ডারী (ম.জি.আ.)। মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
