আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) মানুষকে ইসলামের আদর্শে অনুপ্রাণিত করেন

ফাতেহায়ে ইয়াজদাহম মাহফিলে বক্তারা

| মঙ্গলবার , ১৫ অক্টোবর, ২০২৪ at ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ

আনজুমানএ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় গতকাল সোমবার বিকাল হতে ষোলশহরস্থ আলমগীর খানকাহ্‌কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়ায় পীরানে পীর দস্তগীর হযরত শেখ সুলতান মীর মহিউদ্দিন সৈয়্যদ আবদুল কাদের জিলানী (রহ.)’র পবিত্র ফাতেহাইয়াজদাহম, পবিত্র গেয়ারভী শরীফ এবং মা ছাহেবানের ফাতেহা শরীফ যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে উদযাপিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন আনজুমান ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, এডিশনাল সেক্রেটারি মোহাম্মদ সামশুদ্দিন, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ সিরাজুল হক, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এস এম গিয়াস উদ্দীন (শাকের), ফাইন্যান্স সেক্রেটারি মোহাম্মদ কমর উদ্দীন (সবুর), প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স সেক্রেটারি মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দীন, কেবিনেট সদস্য পেয়ার মোহাম্মদ, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার চেয়ারম্যান আবুল মহসিন মো. ইয়াহিয়া খান, অধ্যক্ষ কাজী আব্দুল আলিম রিজভী, আনজুমান সদস্য কামাল উদ্দীন চৌধুরী, নুরুল আমিন, মাহবুবুল আলম, মোহাম্মদ হোসেন খোকন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামেয়ার উপাধ্যক্ষ আ ত ম লিয়াকত আলী, আর ইউ চৌধুরী শাহীন প্রমুখ।

এতে বক্তারা বলেন, হযরত গাউসুল আযম আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) আউলিয়ায়ে কেরামের মধ্যে সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী। দ্বীনি ও আধ্যাত্মিক সাধনার মাধ্যমে তিনি আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সক্ষম হন। তিনি যুগ যুগ ধরে বিশ্ব

মুসলিমের হৃদয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। হিজরি ষষ্ঠ শতাব্দিতে যখন মুসলমানরা

নানা বিভ্রান্তিতে পতিত হয়ে ধর্মবিমুখ হয়ে পড়েছিলেন, বিশ্বব্যাপী নানা ভ্রান্ত মতবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল এমন এক যুগসন্ধিক্ষণে পবিত্র কোরআন হাদীসের সঠিক ব্যাখ্যা দানের মাধ্যমে ইসলামের প্রকৃত রূপ তুলে ধরেন। ভ্রান্ত মতবাদের অসারতা প্রমাণ করে অধ:পতিত বিভ্রান্ত মানব সমাজকে ইসলামের আদর্শে অনুপ্রাণিত করেন। মুসলমানদের সঠিক পথের দিশা দানের লক্ষে তিনি প্রবর্তন করেন বরকতময় সিলসিলা, যা কাদেরিয়া সিলসিলা নামে বিশ্ব মুসলিমের

হৃদয়ে গ্রোথিত। হযরত গাউসুল আযম জিলানী (রহ.) প্রবর্তিত কাদেরিয়া তরিকার সঠিকভাবে অনুশীলন অনুকরণে আজীবন বিশ্ব মুসলিম মুক্তির দিশা পাবে। গাউসুল আযম হযরত আবদুল কাদের জিলানী প্রবর্তিত কাদেরিয়া তরিকার প্রচারপ্রসারে সিরিকোট দরবারের মাশায়েখগণ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।

কর্মসূচির মধ্যে ছিল বিকাল ৩টা হতেখতমে কোরআন মজিদ, খতমে বোখারী শরীফ ও খতমে মজমু’য়াহএ সালাওয়াতে রসূল (.), বাদ মাগরিবখতমে গাউসিয়া শরীফ, খতমে গেয়ারভী শরীফ, সালাতসালাম ও আউলিয়ায়ে কেরামের জীবনী আলোচনা করা হয়। এরপর দোয়ামোনাজাত ও তাবারুক বিতরণের মাধ্যমে মাহফিল শেষ হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযুবসমাজের মেধা ও কর্মশৈলীতেই গড়ে উঠবে স্বনির্ভর দেশ
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা