চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে গতকাল মনোনয়নপত্র যাচাই–বাছাইকালে ১২ স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ১৮ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। বাতিল হওয়ায় প্রার্থীদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা রয়েছেন। বিশেষ করে চট্টগ্রাম–৮ আসনে আবদুচ ছালাম, চট্টগ্রাম–১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম–৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহম্মদ ইমরান, চট্টগ্রাম–২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান, চট্টগ্রাম–৮ আসনে আরশেদুল আলম বাচ্চু, চট্টগ্রাম–৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাছির হায়দার করিমসহ প্রায় প্রার্থী আজাদীকে জানান, সামান্য অজুহাতে বাতিল হওয়া তাদের মনোনয়ন ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে এবং পরবর্তীতে তারা হাইকোর্টে আপিল করবেন।
চট্টগ্রাম–৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম আজাদীকে বলেন, আমার সব কিছু ঠিক ছিল। সামান্য এক শতাংশ ভোটারের ১০ জনের মধ্যে নাকি একজনের তথ্যে গরমিল পেয়েছে। এজন্য আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। আপিল করার প্রস্তুতি নিয়েছি। আমার আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সকল সেবা সংস্থার কারো কোনো আপত্তি ছিল না। একজন ভোটার কোনো কারণে হয়তো ঠিক ভাবে তথ্য দিতে পারেননি। আমি মনে করি এটা তেমন একটা বড় বিষয় নয়।
এদিকে চট্টগ্রাম–১ মীরসরাই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনেরও মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ১ শতাংশ ভোটারের তথ্যে গরমিল পাওয়ার কারণে। তিনিও তার প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করবেন বলে জানান।
চট্টগ্রাম–৪ সীতাকুণ্ড আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী লায়ন মোহাম্মদ ইমরানের মনোয়নপত্র বাতিল হয়েছে এক শতাংশ সমর্থক ভোটারের ১০ জনের মধ্যে এক জনের তথ্যের গরমিলের কারণে। প্রার্থিতা ফিরে পেতে তিনি কমিশনে আপিল করবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে আরশেদুল আলম বাচ্চুও তার প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করবেন বলে জানান।
চট্টগ্রাম–২ ফটিকছড়ি আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম নওশের আলীর মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পর তিনিও জানান নির্বাচন কমিশনে আপিল করবেন।