বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তীব্রতায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার পর ৫ই আগষ্ট সারা দেশের অন্যান্য থানার মত পুড়িয়ে দেওয়া হয় চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানা। বন্ধ হয়ে যায় থানার সকল কার্যক্রম ও পুলিশি সেবা। পরবর্তীতে ৯ই আগস্ট উপজেলার সিটিজেন পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে অস্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করে সেখান থেকে লোহাগাড়া উপজেলার মানুষকে পুলিশি সেবা দেওয়া হচ্ছিল।
অবশেষে দীর্ঘ ২৬ দিন পর ১লা সেপ্টেম্বর সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে নিয়ে নিজ ঘরে (পুরোনো থানা ভবনে) ফিরল লোহাগাড়া থানা পুলিশ। এখন থেকে পুড়ে যাওয়া ভবন থেকেই মিলবে কাংখিত পুলিশী সেবা।
যদিও পুড়ে যাওয়া থানা ভবনে এখনো সংস্কারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে, রাজমিস্ত্রী, কাঠমিস্ত্রী, রংমিস্ত্রি, ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রিরা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
লোহাগাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাশেদুল ইসলাম দৈনিক আজাদীকে বলেন, মানুষের সেবার কেন্দ্রবিন্দু লোহাগাড়া থানা পুলিশ। পুড়ে যাওয়ার পর অস্থায়ী কার্যালয় থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করা হলেও মানুষের অসুবিধার কথা চিন্তা করে সংস্কার কার্যক্রম চালু থাকা অবস্থায় আমরা থানায় ফিরে এসেছি। সেবা ও সংস্কার দুটোই একসাথে চলবে, লোহাগাড়াবাসীকে আগের থানা ভবনে এসে সেবা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
উল্লেখ্য, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তীব্রতায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার পর ৫ই আগষ্ট সারা দেশের অন্যান্য থানার মত পুড়িয়ে দেওয়া হয় চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানা। ৫ই আগষ্ট সন্ধ্যায় লোহাগাড়া উপজেলা ও থানা অভিমুখে আসা বিজয় মিছিল থেকে থানা ও উপজেলা পরিষদ ভবনে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। এসময় পুড়ে যায় পুরো থানা ভবন, পুলিশের একটি এপিসি, পুলিশের ব্যাবহৃত চারটি ডাবল কেবিন পিকআপসহ অসংখ্য গাড়ি, যাবতীয় রেজিস্ট্রার পত্র ও মামলার আলামত।