সুখের সংজ্ঞা বা সুখি মানুষ কারা? কে- এটা আপনি একরকম পাবেন না। আমার মতে ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিমান, কতটা চালাক এর সংজ্ঞা ও ব্যক্তিভেদে ভিন্নতা। তাই আপনি দশজন মানুষ নিয়েও যদি গবেষণা করেন, তবে দেখা যাবে একেক মানুষ একেক রকম করে এর ব্যখ্যা দিয়েছে। শুধু একটি মিল পাবেন সুখ হলো আপেক্ষিক ব্যাপার। আপনি যদি ভাবেন আপনি সুখি তো আপনি সুখি। কতটুকু থাকলে বা পেলে আপনি নিজেকে সুখি ভাববেন তাও বিবেচনার বিষয়। একটি মানুষ প্রতিদিন সুখি নয় আবার প্রতি মুহূর্ত ও সুখি হয় না। সকালে সুখি দিন শুরু করলেন সুখের মাঝে। বেলা চলতে চলতে দুঃখ এসে ভর করবেনা তার গ্যারান্টি দিতে পারবেন না।
ছোটবেলার সব গল্পের শেষের লাইন ছিলো- ‘অতঃপর তাহারা সুখে- শান্তিতে বাস করিতে লাগিলেন’ কিন্তু পরবর্তী জীবনে আমরা তাঁর খোঁজ নিতে পারিনি তাঁরা আসলেই সুখি কিনা? নায়ক নায়িকার মিলনে সিনেমা শেষ হয় এবং তারা জট ছেড়ে সুখি হয়। সেখানেই শেষ হয় শেষ দৃশ্য। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের সংসার জীবন আর দেখা হয়না। আবার দেখি শুরুতেই মিলন, মাঝামাঝি সময়ে এসে দুঃখের সংসার। এরপর আবার সুখি জীবন। কিন্তু তা কতদিন, কতবছর, হলো তা দেখা হয়না। তেমনি মানুষের জীবনে ও তাই সুখ কতদিন, কতবছর, কতক্ষণ তার গবেষণা হয় না। আপাতদৃষ্টিতে কিংবা অনুমানে কাউকে সুখি ভাবতেই পারেন। কিন্তু কতটা সত্য তা যাচাই করা কষ্টসাধ্য।
গায়ক আইয়ুব বাচ্চুর গানের সাথেই যদি বলা হয়- ‘সুখেরও পৃথিবী সুখেরও অভিনয়, যতটা আড়ালে রাখো, আসলেই কেউ সুখী নয়।’ উনি সার্বিক বিবেচনায় কথাাগুলো উপলব্ধি করেছেন। আসলেই কেউ সুখী নয় কথাটি পুরোপুরি সত্যি নয়। কোনো মানুষেই নিজেকে সম্পূর্ণ অসুখি বলবে না। আপনি কতটা সুখি সেতো আপনারই বিবেচনা। একটু ভাবতে বসেন, দেখেন। দেখবেন আপনি আসলেই সুখি কোনো এক সময়ে, মুহূর্তে, একান্তে।