সরকার পতন আন্দোলনের সময় যত পুলিশ হত্যা হয়েছে তার দায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সমপ্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। নাহিদ বলেন, ‘আমরা শেখ হাসিনাকে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি তা না করে দেশে ‘রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন’।’ খবর বিডিনিউজের।
৫ আগস্ট দুপুর পর্যন্ত আন্দোলনকারী ছাত্র জনতার উপর স্নাইপার দিয়ে গুলি চালানোর অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট শেখ হাসিনা তার সকল নেতাকর্মী এবং পুলিশ বাহিনীকে মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়ে কাউকে না জানিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যায়। শেখ হাসিনার এই সিদ্ধান্তের কারণে সেদিন অনেক পুলিশ সদস্য মারা যায়। এ আন্দোলনে যত পুলিশ মারা গিয়েছে এর দায় শেখ হাসিনার।’ শেখ হাসিনা দেশে থাকা তার সমর্থকদের আন্দোলন করার জন্য উসকানি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমি তাদের বলতে চাই, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে রাজনীতি করার জন্য আর ফিরতে পারবেন না, শুধুমাত্র ফাঁসির কাষ্ঠে দাঁড়ানোর জন্যই ফিরবেন। যারা এখনও পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উসকানিতে জনজীবন দুর্বিষহ করার চেষ্টা করছেন, তাদেরকে সাবধান করে দিতে চাই।’ মিডিয়ায় ফ্যাসিবাদের এজেন্টদের বিতাড়িত করতে হবে : বর্তমানে সংবাদমাধ্যম যে স্বাধীনতা উপভোগ করছে, ইতিহাসে তা হয়নি বলেও দাবি করেন তথ্য উপদেষ্টা। ক্ষমতাচ্যুত সরকার সমর্থকদের গণমাধ্যম থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। তার ভাষায়, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আর ফ্যাসিবাদের পক্ষে লেখা এক কথা নয়। তিনি বলেন, ‘আবারও বলতে চাই, সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করুন। কিন্তু জনগণের বিপক্ষে দাঁড়াবেন না, ছাত্র–জনতার রক্তের বিপক্ষে দাঁড়াবেন না।’
আন্দোলনের সময় তাদের সংবাদ প্রচার করতে দেওয়া হয়নি, সংবাদ সংগ্রহের কারণে সংবাদমাধ্যমগুলোর সাংবাদিকরা নির্যাতিত হয়েছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এখনও সেই সাংবাদিকদের নানা প্রকার চাপের মধ্যে রাখা হয়েছে বলে আমরা জেনেছি। সে হাউসগুলোতে ফ্যাসিবাদের এজেন্টরা রয়ে গেছে। তাদের বিতাড়িত করতে হবে। সেই গণমাধ্যমের মধ্য থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিতাড়িত করে জনগণের সামনে চিহ্নিত করতে হবে। কারণ, আমরা ফ্যাসিবাদ মুক্ত গণমাধ্যম চাই। ফ্যাসিবাদ মুক্ত গণমাধ্যম ছাড়া নতুন বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব হবে না।’