চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতাল এলাকায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের গেটের সামনে রহস্যজনক আগুনে পুড়ে মারা গেছেন আব্দুল হামিদ (৩৭) নামে এক ডাব বিক্রেতা।
তবে পরিবারের অভিযোগ স্ত্রীকে পরকীয়ায় বাঁধা দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে তাকে।
রবিবার (১২ মে) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থা তার মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে নিহত ঐ ডাব বিক্রেতার গায়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল হামিদ বাঁশখালী উপজেলার ২নং সাধনপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড পেয়াদা পাড়া এলাকার মৃত জাফর আহমদের ছেলে।
নিহতের বড় ভাই আবদুল আলিম বলেন, আমার ভাই মারা যাওয়ার আগে বলেছে তার পিছন থেকে কেউ কি ছিটিয়ে দেয়। এর আগে তাকে ফোন দিয়ে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। তার স্ত্রীর সাথে সমস্যা চলছে অনেকদিন ধরে। আমাদের অভিযোগ তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালী থানার ওসি এস এম ওবায়েদুল হক দৈনিক আজাদীকে বলেন, এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য নিহতের লাশ চমেক মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট আসার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে আব্দুল হামিদ সামাজিকভাবে বিবাহ করেন একই ইউপির আব্দুল মালেকের কন্যাকে। বিয়ের দুই বছর পর্যন্ত সুখে শান্তিতে বসবাস করলেও পরে আব্দুল হামিদের স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে।
এমনকি শ্বশুর বাড়িতে পরিবারের কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে পরকীয়া করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়ে। পরে বিচারের মাধ্যমে সমাধান হলেও স্ত্রীকে কখনো থামিয়ে রাখা যায়নি। স্ত্রীর পরকীয়া বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আবদুল হামিদ।
এদিকে আমাদের বাঁশখালী প্রতিনিধি জানান, রবিবার রাত ৭টার দিকে ডাব ব্যবসায়ীর মরদেহ বহনকারী গাড়ি বাড়িতে পৌছায়। এ সময় সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে।